করোনা চিকিৎসায় আফ্রিকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হারবাল ওষুধ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দ্বীপদেশ মাদাগাসকার একটি হারবাল ওষুধ তৈরি করেছে। ওষুধটি এরই মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে করোনা চিকিৎসায় এই হারবাল ওষুধের কোনো কার্যকারিতার প্রমাণ নেই বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- হু।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, কঙ্গো, তানজানিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ মাদাগাসকার থেকে ওই ওষুধ আমদানি করছে। তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি মাদাগাসকারে একটি বিমান পাঠিয়েছে শুধু ওই হারবাল ওষুধ আনার জন্য। এ ছাড়া কঙ্গোর প্রেসিডেন্টও ওই ওষুধ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মাদাগাসকারের ওই ওষুধ আর্টেমিসিয়া গাছ থেকে তৈরি, যেটি ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
তানজানিয়ার প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ লোভা হাসিনিরিনা রানোরোমারো বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্যই ওই ওষুধ বের করা হয়েছে এবং প্রায় ২০ জনের বেশি রোগীর ওপর ট্রায়াল দিয়ে ওষুধটি বাজারে আনা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, নিজেদের উদ্ভাবিত করোনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো স্বীকৃতি দেয়নি। প্রসঙ্গত আফ্রিকা মহাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬৯ জন।
মারা গেছেন এক হাজার ৭৫৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ১২৯। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.৯ শতাংশ। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯৯৬ জন। যার মধ্যে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৮৩০ জন। আফ্রিকা মহাদেশের দুটি দেশ লেসোথো ও টোগোতে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.