যে কারণে শুক্রাণু বিক্রি করছে ইসরাইলের তরুণরা!
করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে ইসরাইলে রকেটগতিতে বাড়ছে শুক্রাণু বিক্রির হার। মহামারীর কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট আর কাজের অভাবে শুক্রাণু বিক্রি করছে দেশটির শত শত তরুণ। স্থানীয় কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ হার ১০০ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে বেড়েছে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ। একজন ডোনার প্রতি মাসে স্পার্ম বিক্রি করে ৪ হাজার শেকেল আয় করতে পারেন। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুক্রাণু দাতাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য। করোনার কারণে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা বেতন ছাড়াই ছুটিতে রয়েছেন। ইসরাইলে বেকারত্বের হার বেড়ে ২১ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা ৮ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি।
করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপের কারণে অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দ্রুত সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের সরকারি এবং বেসরকারি স্পার্ম ব্যাংকগুলো একবার শুক্রাণু দিলে দেড় হাজার শেকেল পর্যন্ত অর্থ দেয়। গেল কয়েক সপ্তাহে শুক্রাণু বিক্রির এ হার ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলেও জানানো হয়।
২৫ বছর বয়সী অ্যালন বলেন, ‘তিনি তার চাকরি হারিয়েছেন। ওই চাকরিতে তিনি এক লাখ শেকেলের মতো বেতন পেতেন। তাকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারসহ বাসা ছাড়তে হয়েছে।’ যখন আয়ের নতুন উৎস খুঁজছিলেন, তখন তিনি স্থানীয় রামবাম মেডিকেল সেন্টারের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান।
যেখানে হাসপাতালের স্পার্ম ব্যাংকের জন্য ডোনার চাওয়া হয়েছিল, বলেন, অ্যালন। ‘আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এটি অর্থ আয়ের ভালো একটি সুযোগ। চ্যানেল টুয়েলভকে অ্যালন বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটে, আয় করতে পাড়ি কোনো পরিশ্রম ছাড়াই। মাসে ৩ হাজার শেকেল (৮৭৯ মার্কিন ডলার) আয় করা যায়। বেকার থাকা অবস্থায় অনেক ভালো আয় এটা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিচিত বহু তরুণ আছে। যারা করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছে। তাদের অনেকে বেসরকারি স্পার্ম ব্যাংকে, হাসপাতালে স্পার্ম বিক্রি করছে। যাতে তারা ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকাতে পারে।’ সরকারি হাসপাতালে একজন ডোনার সপ্তাহে দু’বার স্পার্ম ডোনেট করতে পারেন। প্রতিবার ডোনেট করার জন্য ৬শ’ শেকেল আয় করেন। মাসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮শ’ শেকেল।
চ্যানেল টুয়েলভের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আয় থেকে সরকারকে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। মহামারীর শুরুতে দেশটিতে লকডাউন এবং স্পার্ম থেকে করোনা ছড়াতে পারে এমন আতঙ্কে ডোনেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডোনেশনের হার ১৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১শ’ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩শ’ শতাংশ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.