মাটির নিচে ইরানের বিশাল ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’!
একাধিক ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে ইরান। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ এ শহর পারস্য উপসাগরের তীর থেকে খানিকটা গভীরে বিস্তৃত। শহরগুলোতে একাধিক বাঙ্কার ও ভাসমান প্ল্যাটফর্মও রয়েছে। রোববার তেহরানভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সুবহে সাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল আলী রেজা তানসিরি।
সোমবার ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা এ খবর দিয়েছে। উপসাগরীয় তীরে প্রায় দুই হাজার ২০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মিসাইল শহর অবস্থিত। তবে মাটির কত ফুট গভীরে এটি অবস্থিত তা জানায়নি ইরনা নিউজ এজেন্সি। রোববার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তানসিরি বলেন, ইরান ভূগর্ভস্থ মিসাইল শহর তৈরি করেছে, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের তীর থেকেও বেশ গভীরে বিস্তৃত।
এটা ইরানের শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্নের কারণ হবে বলে হুশিয়ারি করেন তিনি। ‘আইআরজিসি এখন এই দুই উপসাগরের সর্বত্র বিচরণ করছে। ইরানের নৌবাহিনীর ২৩ হাজার সদস্য ও ৪২৮টির মতো জাহাজ দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তসহ এখানকার সব জায়গায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যোগ করেন তানসিরি। ইরানের এ নৌবাহিনী প্রধান আরও হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘খুব শিগগিরই এই মিসাইল শহরে এমন অনেক মিসাইল যোগ হবে যা শত্রুপক্ষেরও ধারণার বাইরে।
এগুলো হবে অত্যন্ত আধুনিক ও শত্রুপক্ষের অনেক গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম।’ তানসিরি আরও বলেন, ‘ইরানের ভূগর্ভস্থ শহরগুলোতে রয়েছে জাহাজ এবং মিসাইল। দক্ষিণ ইরানের পুরো তীরজুড়ে রয়েছে এসব অস্ত্র। এই অস্ত্রগুলোর বেশির ভাগই নিয়মিত ইরানী নৌবাহিনীর নয়, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের হাতে রয়েছে।
এছাড়া বাসিজ ইউনিটসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক বাহিনী নিয়ে গঠিত ইরানের বিশেষ বাহিনী রয়েছে সেখানে। ভূগর্ভস্থ শহরের দুই হাজার ২০০ কিলোমিটারজুড়ে ৪২৮ ফ্লোটিলাস যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।’ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের গতি বাড়ানো ছাড়াও ইরান এখন পারস্য উপসাগর এবং আরব উপদ্বীপে কৌশলগত যুদ্ধ শুরু করেছে।
গত বছর ইরান এই অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি তেলবাহী জাহাজকে জব্দ করেছে। তারা হরমুজ প্রণালীতে নজরদারি করা একটি মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তেল ও অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজের অন্যতম প্রধান এই যাত্রাপথের আশপাশে সম্প্রতি কয়েকটি কয়েকটি দুর্ঘটনাজনিত জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।
যদিও এসব ঘটনার জন্য বরাবরই ইরানকে দায়ী করে আসছে বৈরী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, তার পরও এসব ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে ইরান।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.