মার্কিন কর্মকর্তারা না "আইন" বোঝে না জাতিসংঘ সম্পর্কে ধারনা রাখে: ড. জারিফ
গতকাল ড. জারিফ তার টুইটারে লেখেন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তিন তিনবার মার্কিন আবেদন খারিজ হয়ে যাবার পরও আমেরিকা হুমকি দিচ্ছে যে-কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পথে বাধার কারণ হবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিরাপত্তা পরিষদে ইরান বিরোধী হোয়াইট হাউজের প্রস্তাবের বিরোধিতা সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার তাঁর ব্যক্তিগত টুইটে বলেছেন ২০ সেপ্টেম্বর ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হবে। যদিও সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে।
ইরানের কূটনৈতিক সাফল্যের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্যই বলেছে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ'র সদস্য নয়। তারা এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে এবং ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে। সুতরাং সমঝোতা মানে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ আর আমেরিকার নেই।
জাতিসংঘে রুশ স্থায়ী প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানোফ যেমনটি বলেছেন ইরানের ব্যাপারে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম ব্যবহারের মার্কিন প্রস্তাবেরও কোনো আইনি ভিত্তি নেই। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রস্তাব বারবার খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী আমেরিকার ব্যর্থতার চেহারা যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি এই দেশটি যে সত্যিই সারাবিশ্বে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে তাও স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবার কারণে আমেরিকা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বসমাজকেও বলতে পারছে না যে ইরান বিরোধী জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা চালু রাখার বিষয়ে যেন সম্মত হয়। কেননা সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তারা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। এরকম পরিস্থিতিতেই ড. জারিফ বলেছেন: আমেরিকা না আইন বোঝে না জাতিসংঘ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান রাখে।
সূত্রঃ পার্সটুডে
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.