আমিরাত-ইসরাইল চুক্তি: মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রবিক্রি বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের !
ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হলে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে আমেরিকার আরও অস্ত্রবিক্রির সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেইডম্যান বলেছেন, আমিরাত যত ইসরাইলের মিত্র, অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক মিত্র হবে, আমি মনে করি এতে হুমকির মাত্রা কমবে ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিক্রিতে আমিরাত লাভবান হতে পারে।
নিয়ার ইস্ট পলিসি থিংকট্যাংকের ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের আরব-ইসরাইল সম্পর্ক প্রকল্পের পরিচালক ডেভিড মাকোভস্কি বলেন, এই চুক্তিটি আমিরাতের জন্য জয়। এর ফলে আমিরাত সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবে যেগুলো এখন শুধু ইসরালই কিনতে পারে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র এগুলো বিক্রি করে না আরব দেশগুলোর কাছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে এমন অস্ত্র আরব বিশ্বকে তারা দেবে না। আরব দেশগুলোর তুলনায় ইসরাইল অত্যাধুনিক অস্ত্র পাবে। যেমন- লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ইসরাইল কিন্তু আমিরাত এখনও তা কিনতে পারেনি।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যাস্থতায় ইসরাইল-আমিরাতের মধ্যে চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।মিসর ও জর্ডানের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করল আমিরাত।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই চুক্তির আওতায় ইসরাইল পশ্চিম তীরে যেসব অঞ্চল সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেসব ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে। তবে এ চুক্তির পর ফিলিস্তিন সরকারসহ অধিকাংশ মুসলিম বিশ্ব এটিকে প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.