আমিরের তুরস্ক সফর !
‘লাল সিং চড্ডা’র শুটিং করতে গত সপ্তাহে তুরস্কে গেছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। সেখানে গিয়ে তিনি দেশটির ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। টুইটারে আমিরের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে এমিনি লিখেছেন, আমিরের মতো অভিনেতা ও ফিল্মমেকারের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আপ্লুত। খবর এনডিটিভির।
এমিনি ফেসবুকে লেখেন, আমির ‘লাল সিং চড্ডা’র শুটিং এখানেই শেষ করবেন জেনে খুব খুশি আমরা। আমির খানের সঙ্গে তোলা ছবি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন এরদোগানপত্নী। সঙ্গে সঙ্গে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু এই সাক্ষাতের পর থেকেই নিজ দেশ ভারতে নেটিজেনদের বিদ্বেষের শিকার হন আমির খান। তুরস্ক-ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে অনেকেই অভিনেতাকে গালমন্দ করেন।
আমিরের ছবি বয়কট করার কথাও বলেন অনেকে। কঙ্গনা রানাউতও তার অফিশিয়াল টুইটার পেজে আমিরকে কথা শোনাতে ছাড়েননি। তবে অনেকে আবার এটাও মনে করছেন যে, তুরস্কে ছবির শুটিংয়ে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্যই আমিরের এই সাক্ষাৎ।
তুরস্কে বিভিন্ন স্থানে শুটিং সংক্রান্ত অনুমতি পেতে যাতে অসুবিধে না হয়, সেই কারণেই নাকি আগেভাগে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে রাখলেন অভিনেতা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ খানিকটা কমার পরেই আউটডোর শুটিংয়ের শিডিউল স্থির করে ‘লাল সিং চড্ডা’র টিম। যদিও বিমানবন্দরে নেমেই ভক্তদের সেলফির আবদার রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমিরকে।
এ বলিউড অভিনেতার ‘দেশদ্রোহী’ তকমা জুটেছিল আগেই। আমির খানের তুরস্ক সফর ঘিরে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারতে। কাশ্মীর নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার ভারতকে দোষারুপ করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানকে। ২০২০ সালের শুরুতে দিল্লি সহিংসতা নিয়েও মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন এরদোগান।
সম্প্রতি সেই এরদোগানের স্ত্রী এমিনের সঙ্গে আমির খানের সাক্ষাতকে ভালো চোখে দেখছেন না ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। আমির সম্প্রতি কোন কোন দেশে গিয়েছেন, কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি তুলেছেন অনেকে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.