ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তি আজ!
গোটা মুসলিম বিশ্বকে পাশ কাটিয়ে ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুরে হোয়াইট হাউসে তিন দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ আল জায়ানি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
এতে অংশ নিতে এরইমধ্যে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এটিকে আরেক ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
এই চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।
এ চুক্তির মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর কৌশলগত সখ্যতার বিষয়টিও আরও স্পষ্ট হবে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব বলয়ের দুই দেশের সঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে নিজের বিচ্ছিন্ন অবস্থা কাটাতে সমর্থ হবে ইসরাইল।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতাবস্থা তৈরি করতে এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, আমিরাত ও বাহরাইন গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বললেও ফিলিস্তিনিরা একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন।
মসজিদুল আকসা, আল কুদস (জেরুজালেম) ও ফিলিস্তিন দখলকারী অবৈধ রাষ্ট্রটির সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের এমন সম্পর্ককে হারাম ফতোয়া দিয়েছে বিশ্বের মুসলিম স্কলারদের নিয়ে গঠিত বৃহৎ সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস’ বা বিশ্ব মুসলিম ওলামা সংঘ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.