সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    যুক্তরাষ্ট্রে খুলছে লাখো রেস্টুরেন্ট!

     যুক্তরাষ্ট্রে খুলছে লাখো রেস্টুরেন্ট

    করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্য হচ্ছে নিউইয়র্ক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর লকডাউনে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেখানকার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো। তারপর কেবল বাইরে কাস্টমারদের বসানোর শর্তে সীমিত আকারে চালু হয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।  

    এবার ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে রেস্টুরেন্টগুলোর কার্যক্রম। খরিদদারদের হোটেল-রেস্টেুরেন্টের ভেতরে বসিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার অনুমতি দিয়েছেন মেয়র অ্যান্ড্রু কুমো।  তবে এক্ষেত্রে কাস্টমারদের মাস্ক পরিধান করা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।  

    আর রেস্টুরেন্টের ধারণ ক্ষমতার মাত্র ২৫ শতাংশ কাস্টমারকে ভেতরে বসে খাওয়ানো যাবে। বাকি ৭৫ শতাংশ আসনের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে ফেলতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নিউইয়র্কের দেখাদেখি অন্য অঙ্গরাজ্যেও দেয়া হবে রেস্টুরেন্ট ব্যবহার স্বাভাবিক অনুমতি। নিউইয়র্ক পোস্ট, সিএনবিসি, ইউরো নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান।  

    যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের বাইরে খাওয়া-দাওয়া করার স্বাভাবিক প্রবণতা অন্য যে কোনো দেশের মানুষের চেয়ে বেশি। ফলে প্রায় ছয়মাস পর রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে খাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পর অনেকে রোমাঞ্চিত। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ২৫ শতাংশ আসনে ব্যবসা শুরুর বিষয়টি সীমিতপর্যায়ে হলেও ভেতরে বসিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে এটাই বড় কথা।  

    যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে রয়েছে অন্তত ১৫ হাজার রেস্টুরেন্ট। এ ব্যবসা কেবল এর মালিকের রুটি-রুজির সঙ্গেই জড়িত নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে খাবার রান্না, কাটাকাটিসহ বিভিন্নপর্যায়ে যুক্ত আরও মানুষ। 

    যুক্তরাষ্ট্রের ছয় লাখ ৬০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্টের ওপর জীবিকার জন্য নির্ভরশীল এসব মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখের বেশি।  হোটেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদের সবাই বেকার হয়ে পড়েন। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মালিক ও কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়ে বলে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মেয়র ও গভর্নরের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের রেস্টুরেন্ট মালিকরা মামলাও করেছিলেন।  

    নিউইয়র্কে যখন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তখন ফ্রান্সে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড তৈরি হয়েছে।  ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ স্যান্টে ফ্রেন্স জানিয়েছে, শনিবার দেশটিতে ১৩ হাজার ৪৯৮ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণের রেকর্ড করা হয়। 

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার থেকে এটিই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তকরণের ঘটনা।  এর একদিন আগে সর্বোচ্চ শনাক্তকরণ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২১৫টি। মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে ফ্রান্সে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৪২ হাজার ১৯৪ জনে। শনিবার একদিনে করোন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন। এ নিয়ে ফ্রান্সে করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজার ২৫৪ জন।  

    এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে আবারও লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !