স্ত্রী ও সন্তানদের যে আকুতিকে প্রাধান্য দিলেন মেসি!
২০ বছরের বন্ধন অটুট রইল। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বার্সায়ই থাকছেন মেসি। ২০২১ সালের ৩০ জুনের পর মুক্ত হবেন মেসি। তখন কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়াই দল বদল করতে পারবেন তিনি।
সে হিসাবে গত কয়েকদিন তুমুল আলোচনার পর কাতালান ক্লাবেরই জয় হলো। হেরে গেলেন মেসি। ফুটবলবোদ্ধাদের কাছ থেকে এমন বক্তব্যই পাওয়া যাচ্ছে। সেটাই স্বাভাবিক।
কেননা করোনার কারণে ফ্রি ট্রান্সফারের সময়সীমাকে আগস্ট পর্যন্ত দাবি করলেও বার্সালোনা কর্তৃপক্ষ জুন বলেই অনড় ছিল। বার্সার প্রেসিডেন্ট হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের 'ঘাড় তেড়ামো'কে মেনে নিতে হলো মেসির। রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর ফাঁদে আটকে গেল মেসির পা।
তবে মেসিভক্তরা বিষয়টি আবেগের দিক থেকে দেখছেন। জয় মেসিরই হয়েছে। বিষয়টি আদালতে নিয়ে প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাননি মেসি। তাই ত্যাগ স্বীকার করলেন।
মেসি ত্যাগ স্বীকার করেছেন পরিবারের জন্যেও। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের হৃদয়ের আকুতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
বার্সায় ভবিষ্যত নেই জানিয়েও কেন শেষতক ক্লাবটি ছেড়ে আর যাননি-এমন প্রশ্নের জবাবে মেসির অন্তর থেকে যে কথাগুলো বেরিয়েছে তা বার্সেলোনার প্রতি তার নিবিড় প্রেমের কথাই জানান দিয়েছে।
মেসি জানিয়েছেন, এই ক’টা দিন তার নিদারুণ দুঃখে, বিষণ্নতায় কেটেছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন আমার স্ত্রী ও সন্তানদের সিদ্ধান্তটা জানাই, ওরা স্থির থাকতে পারেনি। সেটি ছিল একটি নিষ্ঠুর নাটক’, একনাগাড়ে বলে গেলেন মেসি।
তিনি যোগ করেন, ‘বাড়ির সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। আমার সন্তানেরা বার্সেলোনা ছাড়তে চায় না। স্কুলও পাল্টাতে চায় না ওরা। মেসি জানান, তার ছেলে থিয়াগো বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে নারাজ।
তিনি বলেন, থিয়াগো বড় হয়েছে। অনেক কিছু বোঝে সে। টিভিতে সে খবরে দেখেছে এসব। সে আমার কাছে পুরো ঘটনা জানতে চেয়েছে। আমি ওকে কিছু না বলার পরও সে কান্না জুড়ে দেয়।
আমাকে অনুরোধ করে যেও না বাবা। আমি বুঝতে পারি ওর কষ্ট। এমন সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। মূলত: সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে হলেও সিদ্ধান্ত বদলেছেন মেসি। মেসিভক্তরা এখন এমনটা বলতেই পারেন।
তথ্যসূত্র: গোল ডট কম
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.