তাইওয়ানে চীনা যুদ্ধবিমানের মহড়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে
তাইওয়ানের আকাশসীমার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুধবার একাধিক চীনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, বেইজিংয়ের এমন কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। খবর রয়টার্সের।
চীন তাইওয়ানকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করলেও তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র মনে করে। এ কারণে নিজেদের সীমানার পাশে চীনা সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছে তাইওয়ান।
যদিও চীনের পক্ষ থেকে এসব সামরিক কার্যক্রমকে সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দাবি করা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে তাইওয়ানের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চীনকে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকালে চীনা এসইউ-৩০ এবং জে-২০ যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এ মহড়ায় বেশ কিছু যুদ্ধ বিমান অংশ নেয়।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে চীনা কমিউনিস্টদের এমন একতরফা পদক্ষেপের চরম নিন্দা জানাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী।
বর্তমানে তাইওয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব উপকূলে অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। তবে এ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চীনবিরোধী নেত্রী হিসেবে পরিচিত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন গত মাসে সতর্ক করেছিলেন যে, দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের আশেপাশে উত্তেজনার কারণে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দুই দেশের যোগাযোগ অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.