ইসরায়েল-বাহরাইন চুক্তিতে ‘স্তম্ভিত’ সৌদি বাদশাহ!
মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পথে সৌদি আরব হাঁটবে কি না চলমান গুঞ্জনের মধ্যে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এ বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছেন।
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগ্রহী হলেও বাদশাহ সালমান ইসরায়েলের ব্যাপারে তার আগের অবস্থানে রয়েছেন বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান আরব দেশগুলোর ইসরায়েল বয়কট করা ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবির দীর্ঘদিনের সমর্থক। তবে তার উত্তরাধিকারী যুবরাজ সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসা করতে ও ওই অঞ্চলে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জোটবদ্ধ গড়ে তুলতে চান।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে স্টিফেন ক্যালিন লিখেছেন, গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল ও আমিরাতে মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ঘোষণা দেন, ৮৪ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান তা শুনে ‘স্তম্ভিত’ হয়ে পড়েন।
তবে ট্রাম্পের ঘোষণায় অবাক হননি যুবরাজ সালমান। আরব বিশ্বের দুটি দেশ দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে যে চুক্তি করেছে তাতে সৌদি বাদশাহ আর যুবরাজের মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়টি এভাবেই ফুটে উঠেছে।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম অর্থনীতির প্রধান সৌদি আরবের বাদশাহ যদি ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সমর্থন না করতেন তবে প্রতিবেশী দেশ আমিরাতের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হতো।
আর তার উত্তরাধিকারী খাসগি হত্যার অন্যতম হোতা যুবরাজ সালমানই আমিরাতকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে সাহায্য করেছেন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.