সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    সৌদিতে এক লাখ ২০ হাজার বছরের পুরনো পায়ের চিহ্নের সন্ধান!

       সৌদিতে এক লাখ ২০ হাজার বছরের পুরনো পায়ের চিহ্নের সন্ধান

    সৌদি আরবে এক লাখ ২০ হাজার বছরের পুরনো প্রাণী ও মানুষের পায়ের চিহ্নের সন্ধান পাওয়া গেছে।  দেশটির তাবুক অঞ্চলের শুকিয়ে যাওয়া প্রাচীন লেকের চারপাশে এ চিহ্ন আবিষ্কার করেছে সৌদির আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ টিম।  

    আল আরাবিয়ার তথ্যানুযায়ী, সংস্কৃতিমন্ত্রী রাজপুত্র বদর বিন আব্দুল্লাহ বিন ফারহানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে এই ঐতিহাসিক আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।  

    প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. জাসির আল হারবাস বলেন, প্রাচীন যুগে আরব উপদ্বীপে মানব বসতি থাকার সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক নির্দশন এটিই। আবিষ্কারটি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চলটিতে সবসময় জৈবিক পরিবেশ বিরাজমান থাকার পক্ষে প্রমাণ বহন করছে।  

    আল হারবাস বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে, এখানকার আল-নাফুদ প্রান্তরে শত শত প্রাকৃতিক হ্রদ ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে নানা রকমরে প্রাণী বসবাস করত।  এখানে সাতজন মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়া এবং ১০৭টি উটের ছাপ রেকর্ড করা হয়েছে। ৪৩টি হাতির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেছে।  

    এ ছাড়া রেকর্ডে ছোট-বড়সহ বিভিন্ন প্রাণীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। এখানে হাতির হাড়ের ২৩৩টি জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।  সৌদি ও আন্তর্জাতিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণায় এসব চিহ্নের সাতটি ঐতিহাসিক স্তর উন্মোচিত হয়েছে। যেখানে পাথরের জিনিসগুলো শারীরিক অবস্থায় ছিল।  

    পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, প্রাচীনকালে এখানে একটি উন্নত পাথরশিল্প কেন্দ্র ছিল, ফলে পাথরের ভগ্নাবশেষ এখনও এখানে রয়েছে। আল-হরবাশ বলেন, ঐতিহাসিক এ আবিষ্কারের সঙ্গে জার্মান, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়, ভূতাত্ত্বিক জরিপ বোর্ড এবং আরামকো সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  

    এটি ‘সবুজ দ্বীপ’ নামের একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের ফল।  সৌদি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাবুক, নাজরান, রিয়াদ, হাইল ও মদিনার বিভিন্ন স্থানে ঐতিহাসিক স্থানসমূহ খনন এবং গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।  

    বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ফলে এই দাবিটি আরও জোরদার হয়েছে যে, এই অঞ্চলটি পাঁচ লাখ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক স্থান এবং জীববৈচিত্র্যের রেকর্ডে সমৃদ্ধ।  আরব উপদ্বীপের সব অঞ্চলে হ্রদ ও নদী ছিল। 

    এ কারণে এখানে বিশাল জনসংখ্যা ছিল। আরব উপদ্বীপটি আফ্রিকা ও এশিয়ার মহাসড়কের চৌমাথায় গড়ে উঠেছিল।   আল আরাবিয়া উর্দূ অবলম্বনে- তোফায়েল গাজালি

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !