আজারবাইজানের হাতে ২৩০০ আর্মেনিয়ার সেনা হতাহত!
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো ও কারাবাখ নিয়ে রোববার থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। চানা চার দিনের সংঘাতে আর্মেনিয়ার ২৩০০ সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। দেশটির বেসামরিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনায় হামলার পরই সংঘাতের সূত্রপাত্র বলে বাকু দাবি করছে। এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদলু।
এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দখলকৃত অঞ্চলে পাল্টা হামলায় এসব সেনারা নিহত বা আহত হয়েছেন। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৭ -৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধে ১৩০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, ২০০টির বেশি আর্টিলারি ও মিসাইল সিস্টেম, প্রায় ২৫টি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ৬টি কমান্ড ও পর্যবেক্ষণ এলাকা, ৫টি গোলাবারুদ ডিপো, প্রায় ৫০টি অ্যান্টি ট্যাংক গান ও ৫৫টি গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টার্টার শহরের টোনশেন গ্রামে মোতায়েন করা ফাস্ট সেনা কমান্ডের অধীনে কর্মরত একটি আর্মেনিয়ান ব্যাটালিয়ন প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হন।
কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই নতুন করে সংঘাতের সূত্রপাত। দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়ায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.