ভারতের দখলকৃত আরও দুই এলাকা নিজেদের বলে দাবি জানালো নেপালের !

চীনের সঙে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকেই একের পর এক ভূখণ্ড দাবি করে আসছে নেপাল। এবার নতুন করে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করল দেশটি। এর আগে জুন মাসে নেপাল ভারতের উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ নিজেদের বলে দাবি করে।
পরে এই অংশগুলো নিজেদের দাবি করে সংসদে নতুন মানচিত্র পাস করে কমিউনিস্ট সরকার।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল প্রচার শুরু করেছে। সেই প্রচারের অংশ হিসেবে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের ম্যাপকেই সামনে আনা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ওই মানচিত্রে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী সিকিমের বড় বড় শহরকেও নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল। জোরকদমে এই প্রচারের অংশ হিসেবে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব চ্যানেলে লাগাতার বক্তব্য রাখা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে নবীন প্রজন্মকে উসকানিও দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যোগ করা হয়েছে পাকিস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একাংশকেও। তবে এর আগে উত্তরাখণ্ডের যে তিনটি অঞ্চলকে নেপাল নিজেদের বলে দাবি করছিল, তার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।
পাশাপাশি ওই অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিস্কার করা হয়েছিল। গত ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরেই ভারত ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
সঙ্গে সঙ্গেই এই রাস্তা উদ্বোধনের প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু। পালটা হিসেবে নতুন মানচিত্র প্রকাশে উদ্যোগী হয় নেপাল। নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়।
এবার তাতে যোগ করা হল নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, সীমান্ত নিয়ে কাঠমান্ডুর সাম্প্রতিক এই কার্যক্রমের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে চীন। কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নেপালের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা উত্তোরত্তর বেড়েছে।
সূত্র যুগান্তর
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.