জাপানি বিজ্ঞানীদের নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন, উপকৃত হবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম!
প্রাকৃতিক দুর্যোগের টেনশনে থাকা বাংলাদেশি কৃষকদের সুখবর জানিয়েছে জাপানি বিজ্ঞানীরা। তাদের উদ্ভাবিত একটি নতুন জাতের লবণ সহিষ্ণু ধান বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে কৃষকদের উপকারে আসতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। জিনগত উন্নতির পথ খুঁজে বের করে এই ধানটি তৈরি করেছে জাপানের জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনএআরও।
টোকিওর প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা কিয়োডো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনএআরও’র বরাত দিয়ে গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক জিন খুঁজে পেয়েছেন যা মূল বৃদ্ধির ‘অ্যাঙ্গেল’ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের এই দিনগুলোতে এই আবিষ্কার আরও নতুন জাতের সন্ধান দেবে বলে আশা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীদের।
গবেষক দলটিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপানের উপকূলীয় এলাকাসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের অর্ধেকের বেশি আবাদি জমি লবণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনই ধানের উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে। ‘ধানগাছের শিকড় জমির অবস্থা অনুযায়ী কীভাবে বেড়ে উঠবে তা এই জিনের মাধ্যমে নকশা করা সম্ভব,’ জানিয়ে সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী ইউসাকু উগা বলেন, ‘লবণাক্ত জমিতে এর ফলন কয়েক গুণ বাড়বে। অন্য জমিতেও সাধারণ ধানের মতো ফলন দেবে।’
এই জিনটি পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার এক প্রকার ধানে, যার শিকড়গুলো স্থল পৃষ্ঠের বরাবর বেড়ে ওঠে। খরা এবং উচ্চ মাত্রায় লবণাক্তযুক্ত মাটি ধানের চারাকে পানিতে বেড়ে উঠতে দেয় না। মাটি আবার অনেক শক্ত হয়। যার কারণে লবণের আধিক্য চারাগাছগুলোর অক্সিজেন কমিয়ে দেয়।
এই পরিবেশে ধানগাছ মাটির পৃষ্ঠতল বরাবর বেড়ে উঠতে পারলে বেশি প্রাণবন্ত হয়।
বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সাল থেকে টানা চার বছর সাসানিশিক ধান এবং ইন্দোনেশিয়ান ধানের শংকর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বলছেন, জেনেটিক্যালি উন্নত এই ধান লবণাক্ত পানিতে ১৫ শতাংশ বেশি ফলন দেবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.