অবৈধ রাষ্ট ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধাস্ত্র বানাবে দখলদার ভারত!
কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে পাকিস্তান এবং চীনা বাহিনীর মোকাবেলা করতে ভারত যেসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে তার বেশিরভাগই ইসরাইলি। আর এ কারণের ইসরাইলের আস্থা ও নির্ভরতা দুই বেড়েছে ভারতের। এবার তাই ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধাস্ত্র বানাবে ভারত। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
বালাকোটে স্যাটেলাইট গাইডেড ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সরযুক্ত স্পাইস বোমা কিংবা লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চীনা বিমানবাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করতে ‘হেরন’ ড্রোন ও ‘ফ্যালকন’ এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (অ্যাওয়াক্স)- এসবই ইসরাইলি সমরাস্ত্র।
সাম্প্রতিক নানা ঘটনাতেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইসরাইল নির্ভরতা নজরে এসেছে। এবার সামরিক ক্ষেত্রে এ সহযোগিতাকেই নতুনমাত্রা দিতে সক্রিয় হয়েছে দুই দেশ। যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করেছে ভারত ও ইসরাইল।
দুই দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ও সমরাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা ওই গোষ্ঠীতে রয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালায় জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অন্য দেশে বিক্রি করাও ওই জোটের অন্যতম লক্ষ্য।
ভারতে অস্ত্র ও সমর সরঞ্জাম রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ইসরাইলের স্থান চতুর্থ। রাশিয়া, আমেরিকা ও ফ্রান্সের পরেই। গত বছর ইসরাইল থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ও গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) সঙ্গে ইতিমধ্যে একাধিক যৌথ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
ডিআরডিও ও ইসরাইলি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে ভূমি থেকে আকাশ ‘বারাক’ ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সংস্করণ উৎপাদনের কাজ চলছে। এ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৬ হাজার ৮৩০ কোটি, বিমানবাহিনী ১০ হাজার ৭৬ কোটি এবং নৌবাহিনী ২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
কয়েক বছর আগে প্রায় ৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকা দিয়ে ইসরাইল থেকে তিনটি ‘ফ্যালকন’ কিনেছিল ভারত। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে হামলাকারী ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে পরিচালনা করেছিল ইসরাইলি অ্যাওয়াক্স।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.