বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামিদের খালাস দিলো বর্বর জঙ্গলী দেশ ভারতের আদালত !
ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামিকে খালাস করে দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব রায় এ রায় ঘোষণা করেন। খবর এনডিটিভির।
প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে খালাস দিয়ে বিচারক বলেন,
প্রথমত মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিল না’।
তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাব,
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই যেসব অডিও এবং ভিডিও আদালতে জমা দিয়েছে, সেসবের সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।
বাবরি মসজিদ ভাঙতে যাওয়া সমাজবিরোধীদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন আসামিরা
এবং আসামিরা মসজিদ ভাঙার সময় যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্রপন্থী হিন্দু কর সেবকরা। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগ আনা হয়।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। প্রায় ২৮ বছর আগের ওই ঘটনা চিরকালের মতো বদলে দিয়েছিল ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক গতিপথ।
এ নিয়ে ভারতে রীতিমতো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী।
মহামারীর মধ্যে বয়সজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আদভানি ও মুরলিমনোহর জোশী আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আদভানির সচিব দীপক চোপড়া।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.