মার্কিন কূটনীতিকের লেখা ছাপাতে অস্বীকৃতি চীনা পত্রিকার
চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একটি নিবন্ধ প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা পিপলস ডেইলি।
বুধবার এমন তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, চীনা পত্রিকা আমাদের কূটনীতিকদের লেখা ছাপতে অস্বীকার করলেও তাদের কর্মকর্তারা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দ্য পিপলস ডেইলি যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তাতে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আতঙ্কের বিষয়টিই সামনে চলে এসেছে। পাশাপাশি অন্য দেশের প্রতি চীনের আচরণে ন্যায্যতার অভাবের বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে।
তবে এমন সময় এ খবরটি প্রকাশিত হলো, যখন চলতি সপ্তাহে হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার।
রাষ্ট্রদূত টেরি ব্রানস্টাডের নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল– ‘পারস্পরিক অধিকারের ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ’। এতে দুই দেশের সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছিল।
মার্কিন কোম্পানি, সাংবাদিক, কূটনীতিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা চীনের কাছ থেকে যে অসম আচরণ পাচ্ছেন, সেসব অভিযোগ তিনি লেখায় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, যখন মার্কিন সাংবাদিকরা প্রতিবেদন ও চীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষিধের মুখোমুখি হচ্ছেন, তখন চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবাধ প্রবেশ করতে পারছেন।
কিন্তু পিপলস ডেইলি বলছে, চীনা দূতের নিবন্ধ মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের মত হচ্ছে– রাষ্ট্রদূত ব্রানস্টাডের নামে লেখাটি ঘটনার সঙ্গে মারাত্মক সঙ্গতিহীন ও ফাঁফোকরে ভরা। এ ছাড়া চীনা সাংবাদিকদের বহিষ্কার করে তাদের দমন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীনা পত্রিকাটি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.