বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানঃ মহাসড়কে বিপদে পড়া নারীকে গণধর্ষণ !
পাকিস্তানে মহাসড়কে বিপদে পড়া এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই সন্তানের সামনে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পাঞ্জাব প্রদেশের এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে দেশটির সাধারণ জনগণ।
এ ঘটনাকে বর্বর ও জঘন্য অভিহিত করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে বিচার চাচ্ছেন তারা। নারী ও শিশুদের সুরক্ষার দাবিও জানাচ্ছেন। এদিকে ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর আলজাজিরার।
গত বৃহস্পতিবার ঘৃণ্য এ ঘটনাটি ঘটে। এদিন ভোরে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোর-শিয়ালকোট মহাসড়ক ধরে গুজরানওয়ালা যাচ্ছিলেন ওই নারী। মাঝপথে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিজের স্বামীকে জানিয়ে সাহায্যের জন্য গাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অজ্ঞাত একদল যুবক সেখানে আসে। এরপর তার গাড়ির জানালা ভাঙে এবং কাছের একটি মাঠে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। নগদ অর্থ তিনটি এটিএম কার্ড ও অলঙ্কার কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনা প্রকাশে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। তাতে ঘৃতাহুতি দেয় পুলিশের এক মন্তব্য। শুক্রবার এক বিবৃতিতে লাহোর পুলিশের প্রধান উমর শেখ বলেন, ‘গভীর রাতে নারীদের একা একা রাস্তায় বেরোনা ঠিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, নতুন নির্মিত এই মহাসড়কে যাত্রীদের সুরক্ষায় কোনো পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি এবং দ্রুত তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। তার ধর্ষণের শিকার নারীকেই দোষ দেয়ার চেষ্টায় করাচি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানায় তারা প্ল্যাকার্ড হাতে। নতুন নিয়োগ পাওয়া শেইখের পদত্যাগের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
সেনাবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে সাংবাদিক গ্রেফতার : সেনাবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশটির জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সাংবাদিক বিলাল ফারুকি বরাবরই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সরকার এবং ধর্মীয় চরমপন্থী দলের সমালোচনা করে এসেছেন।
পাকিস্তানে অনলাইনে ধর্ম, দেশ, আদালত এবং সেনাবাহিনীকে নিয়ে সমালোচনা করলে গ্রেফতার হতে হয় এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। ডন।
শুক্রবার পাকিস্তান পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর পোস্ট দেয়া এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ ছাড়ানোর অভিযোগে বিলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশটিতে গত কয়েক মাসে সরকার ও দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সামলোচনা করায় কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার হতে হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর আরেক সমালোচক সাংবাদিক মতিউল্লাহ জানকে গত জুলাইয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ধরে নিয়ে যায়।
তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সাংবাদিক ও সমাজকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং সমালোচনা শুরু করলে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সপ্তাহের শুরুতেও ইসলামাবাদে সাবেক এক সাংবাদিক কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.