আর্থ্রাইটিস নিয়ে সুস্থ থাকার ৭ উপায়!
আর্থ্রাইটিস শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। আর্থ্রাইটিস হচ্ছে– হাড় অথবা হাড়ের জোড়ার প্রদাহ। বাংলায় এটিকে বাত বলা হয়। আর্থ্রাইটিস কেন হয় অন্যতম কারণ বয়োবৃদ্ধি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণাস্থিতে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমতে থাকে। সে জন্য তরুণাস্থিও ক্ষয় হতে থাকে। শারীরিক ওজন বেশি থাকলে বিভিন্ন জয়েন্টের ওপর বেশি চাপ পড়ার কারণে এ রোগ হতে পারে। জন্মসূত্রে কারও কারও এ রোগ হতে পারে।
এ রোগের উপসর্গ
এ রোগের উপসর্গ হল ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে, কোমরে বা মাজায় অসহ্য ব্যথা। ঘাড় ঘোরাতে, শরীর বাঁকাতে এবং হাঁটাচলা করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হতে পারে। এ ছাড়া হালকা জ্বর, ক্ষুধামন্দা এবং ওজন হ্রাস পাওয়া হচ্ছে এ রোগের উপসর্গ।
এ রোগ কাদের হওয়ার আশঙ্কা বেশি
সাধারণত ৩০ বছরের পরে হয়। যারা অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করেন এবং অতিরিক্ত টেনশন যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বংশগত কারণেও হতে পারে।
আর্থ্রাইটিস নিয়ে সুস্থ থাকার ৭ উপায়-
১. যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার রোগের ধরন এবং নিরাময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
২. ব্যথার ওষুধ বেশি ব্যবহার না করে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করুন। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন।
৩. অতিরিক্ত বিশ্রামের পরিবর্তে কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৪. ব্যায়াম করাকে একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করুন।
আরও যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন-
টেবিলে বসে ঝুঁকে পড়াশোনা করবেন না। নরম গদি-তোশক এবং উঁচু বালিশ বেশি ব্যবহার করবেন না। এ ছাড়া দেহের মেদ কমান-পুষ্টিকর খাবার খান, টেনশন কমান, প্রতিদিনই হালকা কিছু ব্যায়াম করুন এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করুন। শীতকালে ঠাণ্ডায় ও বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বয়স্করা সাবধানে থাকুন।
কী করবেন- মালিশ নিষেধ, এক বালিশ ব্যবহার করবেন, শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমাবেন, ফোম, জাজিম ব্যবহার, সামনে ঝোঁকা, ভারী কাজ, গরম সেঁক নিষেধ, নামাজ চেয়ার টেবিলে পড়বেন। উঁচু কমড ব্যবহার করবেন। নিচে বসা নিষেধ, সোজা হয়ে বসবেন। মগে গোসল করবেন না, শাওয়ার ব্যবহার করবেন, কোমরে বেল্ট (করসেট) পরবেন, যার ঘাড়ে সমস্যা তারা কলার ব্যবহার করবেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.