যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্ত ট্রাম্পকে !
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিরাময়ে এখন পর্যন্ত সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। রাশিয়া একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেও সেটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। তবে করোনা উপসর্গ নিরাময়ে প্রচলিত কিছু ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে রেমডিসিভির অন্যতম।
করোনা রোগীর জরুরি অবস্থায় এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। যুক্তরাষ্ট্রের জিলিড সায়েন্সেস উৎপাদিত রিমডিসিভির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। এই ড্রাগই দেয়া হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই তথ্য জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রেমডিসিভির দিতে শুরু করেছেন। মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ‘ওলটার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে’ ভর্তি করা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় এক লিখিত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শন কনলি জানান, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন। তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আমরা রেমডিসিভির থেরাপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্টকে ওষুধের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। তিনি খুব শান্তভাবে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
এর আগ দেয়া এক বিবৃতিতে ডা. কনলি বলেছিলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোয়াইট হাউজে থাকতে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিটিক্যালের পরিক্লোনল অ্যান্ডিবডি ককটেল দেয়া হয়। ওই ওষুধটি শরীরে ভাইরাসের বিস্তার হ্রাস করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পকেও রেমডিসিভির প্রয়োগ করা হয়েছে তার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে টুইট করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কাইলেহ ম্যাক এনানি।
উল্লেখ্য, ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিকসের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রবার ট্রাম্প নিজেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। বয়স এবং ওজনের কারণে ট্রাম্প রোগ মারাত্মক আকার ধারণের ঝুঁকিতে আছেন।
৭৪ বছর বয়সের ট্রাম্পের বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) ৩০ এর ওপরে, যাকে বলা যায় ওজনাধিক্য বা স্থুলতা। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার বয়স ৫০ বছর। তার শরীরেও মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানান ডা. কনলি। বলেন, ফার্স্ট লেডির হাল্কা কাশি এবং মাথাব্যাথা হচ্ছে। ট্রাম্প-মেলানিয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে ব্যারন তাদের সঙ্গেই হোয়াইট হাউজে থাকে। ব্যারনের পরীক্ষার ফল ‘নেগিটিভ’ এসেছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.