আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের রূপকার এরদোগান: আসাদ!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধের প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে অভিহিত করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী দুই দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়েছে। খবর-রয়টার্সের।
মঙ্গলবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএকে সাক্ষাতকারে প্রেসিডেন্ট আসাদ এ কথা বলেন। এ সময় আসাদ দাবি করেন, সিরিয়া থেকে যোদ্ধাদের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়ে তুরস্ক অস্বীকার করে আসছে। আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী এই অঞ্চলটি আজারবাইজানের হলেও জাতিগত আর্মেনীয়রা অঞ্চলটি শাসন করছে।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো দেশই এটি স্বীকৃতি দেয়নি। রাশিয়ার গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে আসাদ বলেন, তিনি (এরদোগান), নাগোরনো-কারবাখে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের রূপকার ও উসকানিদাতা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো প্রথম এ অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, তুরস্ক সিরিয়ার জঙ্গিদের সেখানে লড়াই করতে পাঠাচ্ছে।
তখনই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তুরস্ক ও আজারবাইজান। সিরিয়ার যোদ্ধারা আজারবাইজানের হয়ে লড়াই করছে, দামেস্ক এটি ‘নিশ্চিত করতে পারবে’ বলে দাবি করেছেন আসাদ। বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে ১০ দিন ধরে চলা এই সংঘাত ১৯৯০ দশকের সর্বাত্মক যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর্মেনিয়া সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য।
এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আর্মেনিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক থাকা তুরস্ক আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইয়েরেভানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কারাবাখে সংঘাতে আজারবাইজানকে শক্তিশালী করতে উত্তর সিরিয়া থেকে ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভেতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনো কারো স্বীকৃতি পায়নি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.