ভারতই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু বেশী সত্রু।
৯০% মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সাহায্যের একটাই উদ্দেশ্য ছিলো চির শত্রু পাকিস্তানের অস্তিত্বকে বিলীন করা। ব্রিটিশ ঔপনিবেশকদের লালন পালনে বেড়ে উঠা রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ছিলো সর্বভারতিয় কংগ্রেস, যেখানে এক সময় মুসলিমরাও ছিলো! পরে উপমহাদেশের শিক্ষিত মুসলিম নেতৃত্ব বুঝতে পারে যে হিন্দুতভার ডিপ পকেট ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেই মুসলিম নিধনে মত্ত হবে। এই উপলব্ধি থেকেই মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের আওয়াজ উঠে তখন! গঠিত হয় পাকিস্তান!
আপনার কি মনে হয় যে শ্রেণী বিভাগে জর্জরিত ব্রাহ্মন সমাজ এমনি এমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সাহায্য করেছে? না, এমনি না। আগে তারা পাকিস্তান ভেঙেছে! এটা তাদের মিশন ছিলো। কারণ ৬৫ তে যে মার তারা খেয়েছে তার প্রতিশোধ না নিলে ইন্ডিয়ান আর্মিতে বিদ্রোহ হতো! কারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঠ্যাটামিতেই সেই যুদ্ধ হয়েছিলো! এদিকে তৎকালীন পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের সবাই ছিলো সেক্যুলার! সে আইয়ুব খান বলেন আর খুনি ইয়াহিয়া! জেনারেল টিক্কা খান ছিলো কাদিয়ানি, যেটা কোন ধর্মই না! সেইসব খুনি, অত্যাচারি, জানোয়ার টাইপের স্বৈরশাসকদের অত্যাচারের ফল ছিলো পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন।
অস্থিতিশীল এই পরিস্থিতির পূর্ণ সুযোগ নিয়েছে ধুরন্ধর ইন্দিরা গান্ধী! বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য তার/তাদের কোন সহমর্মিতাই ছিলো না। এখনো ওদের তা নেই! যদি কেউ আমাদের জন্য তখন কেঁদে থাকে তো পশ্চিম বঙ্গের সাধারণ জনগণ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের উপজাতি মানুষ গুলো তাদের খাবার আমাদের সাথে ভাগ করে খেয়েছে। বাংলাদেশী শরণার্থীদের স্থান দিয়েছিলো! তাদের জন্য মন থেকে আমার প্রার্থনা থাকে অলওয়েজ!
কিন্তু এদেশে দিল্লীর পোষাদের জন্য কোন দয়া নেই। এরা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্পিরিট বেচে খায়। এরা আমাদের সংবাদ মাধ্যমে, আমাদের সংস্কৃতিতে, আমাদের ব্যাবসা বাণিজ্যে, সংসদে, রাষ্ট্র যন্ত্রে লুক্কায়িত! এদের সমূলে উৎপাটন অত্যাবশ্যকীয়!
সূত্রঃ Defense Update Bangladesh
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.