তুরস্কের ড্রোন আতঙ্কে জার্মানি!
জার্মানিতে ড্রোন হামলা হলে দেশটির সেনাবাহিনী সেই ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্ষম হবে না। জার্মানিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনুষ্যবিহীন ড্রোন বাজার পর্যালোচনা এবং গত বছর নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে ড্রোনের ভূমিকা পর্যালোচনা করে এমন মন্তব্য করেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।
জার্মানির প্রতিরক্ষা ইনস্টিটিউটের আধুনিক যুদ্ধবিদ্যা বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইকেল কার্ল বলেন, মারাত্মকভাবে বলতে গেলে, যদি জার্মান সেনাদের আজারবাইজানের ওই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হতো, তাহলে তারা দাঁড়াতেই পারতো না।
তিনি বলেন, আজারবাইজান যুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, এমন কম্বাট ড্রোন এবং কামিকাযি ড্রোন হামলা হলে জার্মানির সেনাবাহিনী কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে না। আমাদের সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি আমাদের সর্বনাশের কারণ হবে।
গত বছর নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ৪৩ দিনের যুদ্ধে জড়ায়। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে অনেক অঞ্চল জয় করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। এর কৃতিত্ব বড় অংশে ছিল তুরস্ক এবং ইসরাইলের তৈরি ড্রোনের। আর্মেনিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে আজারবাইজান তুরস্কের বেয়ারআকতার ড্রোন ব্যবহার করে।
জার্মানির ওই সমরবিদ বলেন, আধুনিক যুদ্ধে জিততে হলে জার্মান সেনাদের প্রযুক্তি প্রয়োজন। জার্মান বাহিনীতে প্রযুক্তি থাকলেও সেসব প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করে না।
তিনি আরও বলেন, কামিকাযি হলো একধরনের আত্মঘাতী বিমান- যেগুলো বিস্ফোরক অস্ত্রে সজ্জিত থাকে এবং লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত করে নিজেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়। এটা ড্রোন প্রযুক্তির নিখুঁত উন্নতি।
সন্ত্রাসীদের কাছে ব্যবসায়িক এবং যুদ্ধে
ব্যবহৃত ড্রোন সহজলভ্য রয়েছে সতর্ক করে তিনি বলেন, শুধু আমাদের
সেনাবাহিনীকে রক্ষা করলে হবে না, বেসামরিক নাগরিকদেরও রক্ষার কথা ভাবতে
হবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.