তিউনিসে আল জাজিরা অফিসে অভিযান!!
তিউনিসিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করার ঘটনায় দেশটিতে সংকট দেখা দিয়েছে। সোমবার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ইন্নাহদা পার্টি এবং প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এরমধ্যেই রাজধানী তিউনিসে আল জাজিরার ব্যুরো দফতরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। সেখান থেকে সব কর্মীকে বের করে দিয়ে তাদের ফোন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিউনিসিয়ায় আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান লতিফ হাজি বলেন, এ ধরনের তল্লাশির কোনো নোটিশ আমাদের আগে দেওয়া হয়নি।
তিউনিসের আল জাজিরার সাংবাদিকরা বলেন, অন্তত ২০ জন সশস্ত্র পুলিশ কার্যালয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের কাছে অভিযানের পরোয়ানা ছিল না। এই অভিযানে অংশ নেওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, বিচার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এ অভিযান চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে সেখান থেকে সব সাংবাদিককে বের করে দিতে বলা হয়েছে। এর আগে বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।
রোববার প্রেসিডেন্ট সাঈদ জানান, নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তিনি নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এ ঘোষণার পর পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা স্পিকারকে সংসদে প্রবেশ করতে দেয়নি। তিউনিসিয়ার সংসদের স্পিকার রাশেদ ঘানুচি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছেন। আমি আশা করি এখনও প্রতিষ্ঠান টিকে আছে। সংসদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঘানুচি বলেন, প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং ভিত্তিহীন। সংসদ এখনও বহাল রয়েছে এবং সংসদের যে কাজ তা চলবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.