তালেবানের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনায় বসবে তুরস্ক!!
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার জন্য তুরস্ক তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করবে। বিষয়টি জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান।
টার্কিশ সাইপ্রাস সফরের প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। তুর্কি সেনাদের কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব থাকা নিয়ে তালেবানের সাম্প্রতিক বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে এরদোয়ান জানান, এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি নিজে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তালেবানের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে আঙ্কারা এক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং কাবুল প্রশাসনসহ অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক কিন্তু এখনও কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নি। তবে এ নিয়ে তালেবান গত সপ্তাহে হুশিয়ারি দিয়ে জানায়, তুরস্ক ন্যাটোর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে ঢুকেছে এবং ন্যাটোর সঙ্গে বের হয়ে যেতে হবে। না হলে তুরস্ক দখলদারি হিসেবে গণ্য হবে এবং তুর্কি সেনাদের বিরুদ্ধে তালিবান জিহাদ চালিয়ে যাবে। তালেবান অবশ্য জানায় যে তুরস্কের আফগানিস্তানে থাকতে হলে সঙ্গে তালেবানের সঙ্গে নতুন কোন চুক্তি করার মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে।
এরদোয়ান আজ বলেন যে তালেবানদের দেওয়া বিবৃতিতে "আমরা তুরস্ক চাই না" বলে কোনও উদ্ধৃতি নেই। তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে তুর্কি প্রশাসনের পজিশন কী তালেবান তা খুব ভাল করেই জানে। "কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সময়, তুর্কি প্রশাসন হিসাবে আমরা কিছু পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়েছি এবং এই পরিকল্পনাগুলির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য কাজ করছি।"
কিন্তু সে পরিকল্পনাগুলো কী বা কোনো ধরনের পরিকল্পনা তা তিনি বিস্তারিত জানাননি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত, আমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। তালেবানের সঙ্গে খুব শীঘ্রই একটা বৈঠক হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ তালেবানদের সঙ্গে আমরা কী ধরনের আলোচনা করবো এবং এই আলোচনা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে (কোন ধরনের ফলাফলে পৌঁছব) তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টায় অব্যাহত আছে।’
তিনি অবশ্য আফগানিস্তানে তালেবানের ‘দখলদারি নীতির’ সমালোচনা করেন। এরদয়ান বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানের বর্তমান আচরণ (দৃষ্টিভঙ্গি) এক মুসলমানের সঙ্গে অন্য মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত না। কারণ আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যার জনগণের বেশিরভাগই মুসলমান।এখানে দখলদারিত্বের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া তালেবানের জন্য সঠিক পন্থা নয়।
তিনি বলেন, আমরা তুরস্ক থেকে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি; এই দখলদারিত্ব আন্দোলন অর্থাৎ ভাই হয়ে ভাইয়ের ভূমি দখল করা অতি সত্বর বন্ধ করা উচিত। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশ্বকে দেখানো উচিত যে আফগানিস্তানে শান্তি বিরাজ করছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.