কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্কের সহায়তা চায় তালেবান!
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য তুরস্কের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীগুলো দেশ ছাড়ার পর বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে কারিগরি সহায়তা চেয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে তুরস্কের সেনাদেরও আফগানিস্তান ছাড়তে হবে জোর দিয়েছে। বুধবার তুরস্কের দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
একইদিনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, ‘আমাদের সেনা প্রত্যাহারের পরও আমরা সেখানকার বিমানবন্দরে নিরাপত্তার কাজটি চালিয়ে যেতে পারব। যদি শর্তাবলীতে সম্মত হয় এবং এই দিক থেকে কোনো চুক্তি হয়, তাহলে আমরা সেখানে এই পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখব।’
তালেবান রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন তুরস্কের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, তালেবান কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা চেয়েছে।
কিন্তু তালেবানের দাবি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সব সেনা সরিয়ে নিলে সেখানে সম্ভাব্য যে কোনো মিশন জটিল হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন। তার মতে, তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
শেষ পর্যন্ত তালেবানের শর্ত মেনে আফগানিস্তানে সেনা না রেখেই তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দর চালাতে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিতে রাজি হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের শাসনভার নিতে যাওয়া তালেবানের শর্তসাপেক্ষে করা অনুরোধ মেনে নিয়ে বিমানবন্দর পরিচালনার মতো বিপজ্জনক কাজের ভার নেওয়া হবে কি হবে না, সে ব্যাপারে আঙ্কারা এখনও দ্বিধাগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৩১ আগস্টের মধ্যেই হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আরেক কর্মকর্তা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.