সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে ছাড়বেন ধূমপান


    যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য চাই মনোবল এবং ধৈর্য। ধূমপান একটি বদঅভ্যাস। এই বদঅভ্যাস যখন আসক্তিতে পরিণত হয় তা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি করে আপনার। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই শ্রেয়।
    কিন্তু সব ধূমপায়ীদের যেন একই অভিযোগ- ধূমপান ত্যাগ করা সহজ নয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, হঠাৎ করে বা প্রথম প্রথম ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সময় ব্যক্তি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন। মূলত এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
    গোটা বিশ্বে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর ধূমপানের এই নেশা ছাড়তে চেয়েও বারবার ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ধূমপান ছাড়ার পর ছ’মাস, এক বছর বা বছর দুই তিনেক কাটানোর পরও ফের ধূমপানের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। বাজার চলতি নেশা ছাড়ানোর পদ্ধতিগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর হয় না।

    এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা ধূমপানের নেশা ছাড়াতে সাহায্যে করবে। আসুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে।

    তবে মনের জোরে ধৈর্য ধরে কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে হয়তো এই কঠিন কাজটিও সহজ হতে পারে।

    মধু

    মধুর বেশ কিছু ভিটামিন ও প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেয়ার পাশাপাশি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু সেবনের মাধ্যমে ধূমপান ছাড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না।

    আদা

    ধূমপানের নেশা ছাড়াতে চাইলে আদার ব্যবহার করা যেতে পারে। আদা চা বা কাঁচা আদা নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। ধূমপানের ইচ্ছে হলেই যদি এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে দেয়া যায় তাহলে ধূমপানের ইচ্ছা প্রশমিত হবে অনেকটাই।

    মূলা

    ১ গ্লাস মূলার রসের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে দিনে দুবার করে নিয়মিত খেলে ধূমপানের ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও ধরনের নেশামুক্তির ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মূলার ওপরই ভরসা রাখেন।

    লঙ্কা গুঁড়ো

    একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাভাবে যদি নিয়মিত লঙ্কা গুঁড়ো খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমতে থাকে। এক গ্লাস জলে অল্প পরিমাণ (এক চিমটে) লঙ্কার গুঁড়ো ফেলে সেই জলটি পান করা যায়, সেক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া যেতে পারে।

    আঙুরের রস

    ধূমপানের ফলে শরীরের ভেতরে নিকোটিনের মাধ্যমে জমতে থাকা টক্সিন বেরিয়ে গেলেই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ধূমপানের ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। আর আঙুরের রস ফুসফুসকে টক্সিনমুক্ত করতে সাহায্য করে।

    এই পদ্ধতিগুলো জানার পরও একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য চাই মনোবল এবং ধৈর্য। মনের জোরে ধৈর্য ধরে এই পদ্ধতিগুলোর যে কোনও একটা মেনে চলতে পারলেই সুফল মিলবেই।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !