সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    লাভ বার্ড পালন করে বাড়তি অায় করুন।

    লাভবার্ড (ইংরেজি: Lovebird) এর প্রজাতিক নাম “আগাপোরনিস”। গ্রিক ভাষায় আগাপেইন হলো (Agapein) "to love" ও ওর্নিস (Ornis) হলো ল্যাটিন শব্দ "বার্ড"। সারা পৃথিবীতে এই প্রজাতির পাখিটি লাভ বার্ড নামে পরিচিত। এদের গড় আয়ুঃ ২০ বছর। এরা ৫-৭ ইঞ্ছি বা ১৩ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এদের আদিনিবাস আফ্রিকা এবং মাদাগাস্কার। সারা পৃথিবীতে নয় জাতের লাভ বার্ড দেখা যায়, এর মধ্যে আট জাতের মূল আবাসস্থল আফ্রিকা এবং একটি জাতের মূল আবাসস্থল মাদাগাস্কার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় প্রজাতি হচ্ছে “Beloved Peach-Faced Lovebird”। এরা সাধারণত ১০-১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

    কিভাবে লাভ বার্ড পাখি পালন করবেন !!

    লাভ বার্ড পাখির বৈশিষ্ট্য:
    ১. লাভ বার্ড টিয়া প্রজাতির পাখি।
    ২. এই পাখি শান্তি প্রিয়, চঞ্চল, আনন্দপূর্ণ ও দেখতে খুব সুন্দর।
    ৩.  লাভ বার্ড পাখিটি মাত্র ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি বা ১৩ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা হয় ।
    ৪. এদের জীবনকাল ১০ থেকে ১২ বৎসর ।
    ৫. খুব সহজেই এবং অল্প পরিসরে এদের লালন পালন করা যায় ।
    ৬. লাভ বার্ড এই পাখির লালন পালন খরচ অনেক কম ।

    উল্লেখ্য যে, এই পাখি বাংলাদেশের আবহায়াওয়ার সাথে খুব ভাল মানিয়ে চলতে পারে ।
    লাভ বার্ড পালনঃ
    পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি কাজ অনেকেই করছেন। এই কাজের মাধ্যমে কিছু আয় হলে তো ভালোই, তাই না? পড়াশোনার ক্ষতি না করেই আয় করা সম্ভব। এমন অনেক পথই রয়েছে। এই যেমন লাভ বার্ড পালন। বিদেশি পাখি লাভ বার্ড। আফ্রিকা এর আবাসস্থল। এখন বাংলাদেশে লাভ বার্ড সহজলভ্য। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সাথে চাহিদাও বেড়ে চলছে। কম জায়গায় লাভ বার্ড পালন করা যায়। অসুখ-বিসুখসহ অনান্য ঝক্কি-ঝামেলাও কম। তুলনামূলক লাভ অনেক বেশি। লাভ বার্ডের মতো সুন্দর পাখি খুবই কম আছে। এর শরীরজুড়ে নানা রঙ। কণ্ঠ সুমধুর। একে অপরের প্রতি বিচিত্রভাবে ভালোবাসা আদান-প্রদান করে। সে কারণেই হয় এর নাম লাভ বার্ড।


    মিউটেশন বা জাতঃ
    পৃথিবীতে লাভবার্ডের মোট ৯ টি প্রজাতি আছে, এদের আবার অসংখ্য উপপ্রজাতি আছে যা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের দেশে যেগুলো বেশি পাওয়া যায় সেগুলো হলো লুটিনো, রোজি ফেসড বা পিচ ফেসড, গ্রিন ফিসার, লুটিনো ফিসার, ইয়েলো ফিসার, চিকমাস্ক বা ব্লাকমাস্ক, ব্লু মাস্ক, বিভিন্ন রকম অপালিন ইত্যাদি। এছাড়া লাভবার্ড মূলত ২ টি গোত্রে বিভক্ত - রিং বার্ড এবং নন রিং বার্ড। ফিসার গোত্রের যেকোন পাখিই রিং বার্ড, যেমন- গ্রিন ফিসার, লুটিনো ফিসার ইত্যাদি। এছাড়া চিকমাস্ক, ব্লু মাস্ক, ভায়োলেট মাস্ক এর মতো মিউটেশন গুলাও রিং বার্ড। নন রিং বার্ডের মধ্যে যেকোন অপালিন মিউটেশন, সাধারন লুটিনো, পিচ ফেস বা রোজি ফেস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য

    অন্য ৮ টি প্রজাতি হচ্ছে-
    • Abyssinian Lovebird
    • Albino Lovebird
    • Black Masked Lovebird
    • Blue Masked Lovebird
    • Dutch Blue Lovebird
    • Fischer's Lovebird
    • Lutino Lovebird
    • Peach-faced Lovebird
    এদের মধ্যে চার জাতের লাভ বার্ড বেশি দেখা যায় –
    • Peach-faced Lovebirds
    • Masked Lovebirds
    • Fischer's Lovebirds
    • Lutino Lovebird


    লাভ বার্ড যদিও তোতা পাখি কিন্তু তারা মানুষের কথা অনুকরন করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু লাভ বার্ড প্রজাতির মায়েরা বাচ্চাদেরকে ছোটবেলায় এই কথা অনুকরন যেন না করে বাচ্চাদের সেই রকম শিক্ষা দেয়, কেননা যদি তারা অন্য প্রানীর ভাষা অনুকরন করে তাহলে তাদের যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটবে।

    রিং, নন রিং ও হাইব্রিড লাভবার্ডঃ

    রিং লাভ বার্ডঃ
    এদের চোখের চারপাশে বেশ মোটা এবং সাদা রং এর গোলাকার একটা বর্ডার থাকে। নিচের প্রথম ছবি দুইটা দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। চিকমাস্ক, ব্লু মাস্ক, কোবাল্ট মাস্ক, ইয়েলো কলার্ড, বিভিন্ন ফিসার গোত্রীয় লাভবার্ড যেমন - গ্রীণ ফিসার, ভায়োলেট ফিসার, ইয়েলো ফিসার, লুটিনো ফিসার এরা সবই রিং বার্ড। নিচের ছবিটি দেখলে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন।

    নন রিং লাভবার্ডঃ

    রিং বার্ডের মত এদের চোখের চারপাশে কোনো সাদা বর্ডার থাকে না। নিচের  ছবিটি দেখলে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। পিচ ফেস, লুটিনো পিচ ফেস, যেকোনো ধরণের অপালিন মিউটেশনের লাভবার্ডই নন রিং। অর্থাৎ চোখের রিংটাই রিং & নন রিং বার্ডের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য, এছাড়া এদের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য নেই।


    হাইব্রিড লাভবার্ডঃ

    রিং বার্ড এবং নন রিং বার্ডের মধ্যে জোড়া দিলে যে বাচ্চা বের হয় তাকে হাইব্রিড বা ক্রসব্রিড বলে। এই বাচ্চা দ্বিতীয়বার আর ব্রিড করতে পারে না। তাই পাখি জোড়া দেওয়ার সময় এবং ক্রয় করার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

    লাভ বার্ড কোথায় পুষবেন : লাভ বার্ড খাঁচার পাখি। এরা খাঁচায়ই থাকতে ভালোবাসে। ১৮-১৮-২৪ ইঞ্চি হল খাঁচার আদর্শ মাপ। আবার ২৪-২৪-২৪ হলেও অসুবিধা নেই। খাঁচা মোহাম্মদপুর, রায়ের বাজার, নিমতলীতে কিনতে পাওয়া যায়। আবার মেটালের কারখানা থেকে বানিয়েও নেয়া যায়। খাঁচায় পকেট গেট রাখতে হবে। যাতে বাইরে ব্রিডিং বক্স লাগানো যায়। ভিতরেও ব্রিডিং বক্স লাগানো যায়। তবে বাইরে লাগালে ভিতরে জায়গা বেশি থাকে। যেটা লাভ বার্ডের ওড়াওড়ির জন্য ভালো। এক হাজার থেকে পনেরোশ’ টাকার মধ্যে ভালো খাঁচা পাওয়া যাবে। ঘর তো বটেই, বারান্দায়ও লাভ বার্ড পালন সম্ভব। ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস লাভ বার্ডের ঘরের আদর্শ তাপমাত্রা। প্রথম দিকে এক জোড়া লাভ বার্ড পালন করা ভালো। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ালে রিস্ক থাকে না। আর ও আই হিসাব করলে একবার বাচ্চা দিলেই ইনভেস্টমেন্ট উঠে যাবে। তারপর শুধু লাভ আর লাভ। খাবার দেয়া ছাড়া খুব বেশি টেক কেয়ার করতে হয় না। কমপক্ষে সপ্তাহে একবার খাঁচা পরিষ্কার করতে হবে। লাভ বার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে। লাভ বার্ড তাদের গায়ে একটুও ময়লা থাকতে দেয় না। লাভ বার্ডের প্রজনন ক্ষমতা অনেক ভালো। 

    খাবার-দাবার : লাভ বার্ড খুব কম খায়। খাবার নষ্ট করেও কম। লাভ বার্ডের প্রিয় খাবার সিড মিক্স। চিনা, কাউন, সূর্যমুখীর বীজ, কুসুম ফুলের বীজ, সরিষা, গম, ক্যানারি সিড, হ্যাম সিড, গুজি তিল ইত্যাদি পরিমাণ মতো মিশিয়ে যেটা বানানো হয় সেটাই হল সিড মিক্স। এছাড়া কলমি শাক, সজনে পাতা, ফলমূলও লাভ বার্ড খায়। একটি পাখি দিনে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ গ্রাম খাবার গ্রহণ করে। প্রচুর পানি পান করে থাকে। বাসায় এগফুড বানিয়ে খাওয়ালে ভালো হয়। বাজারের খাবারে প্রচুর ধুলাবালি ও ময়লা থাকে। তাই ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে খাওয়াতে হবে। ডিম দেবার আগে ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের পর্যাপ্তটা নিশ্চিত করতে হবে। লাভ বার্ডের বাচ্চা যখন ছোট থাকে, সেই সময়টাতে এগফুড, পাওয়াটি রুটি ভিজিয়ে খেতে দিলে পাখির উপকার হয়। বাচ্চারা ভালো খাবার পাবে। অ্যাপেল সিড ভিনেগার, এলোভেরা, মধু পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। সব সময় না। মাঝে মাঝে। এই খাবার পাখির শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লাভ বার্ডের সব খাবারই সহজলভ্য। শীতকালে একটু দাম বেশি থাকে এই যা। খুব সকালে এবং বিকালে লাভ বার্ড খেতে পছন্দ করে। রাতে সব খাবার সরিয়ে রাখা ভালো। প্রতিদিন খাবার পানি পরিবর্তন করতে হবে। ইদুর, তেলাপোকা, পিঁপড়া মুক্ত রাখতে হবে লাভ বার্ডের খাঁচা।


    চ্যালেঞ্জ : মেইল ফিমেইল চেনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লাভ বার্ডের ছেলেমেয়ে দেখতে একই রকম। পাখির আচার-আচরণ, ভেন্ট পরীক্ষা করে চিনতে হয়। যেটা নতুনদের পক্ষে কঠিন হবে। সেজন্য একবার ডিম দিয়েছে এমন লাভ বার্ড কেনা উত্তম। লাভ বার্ডের মেইল ফিমেইলের চাইতে দেখতে সুন্দর হয়। এদের ডাকা ডাকিতেও কিছুটা ভিন্নতা আছে। পৃথিবীতে নয় জাতের লাভ বার্ড রয়েছে। আমাদের দেশে বেশি দেখা যায়, লুটিনো, ফিসার, রোজি ফেসড, পিচ ফেসড, চিক মাস্ক ইত্যাদি প্রজাতি।

    সতর্কতা :
    ১. লাভ বার্ড ওদের ধারাল দাঁত দিয়ে সারাক্ষণ কামড়ায় তাই খেয়াল রাখতে হবে পাখির খাচায় যেন পলিথিন বা প্লাস্টিক জাতীয় পাত্র না থাকে । কোন কারনে প্লাস্টিক কেটে খেয়ে ফেললে, অসুস্থ বা মারা যেতে পারে ।
    ২.  খাচায় এই পাখি পালন করতে খাঁচার আদর্শ মাপ ১৮-১৮-২৪ ইঞ্চি। আবার ২৪-২৪-২৪ হলেও অসুবিধা নেই।
    ৩. একটি খাচায় তিন জোড়া পাখি থাকলে সবগুলি বাক্স বা কলসি একই উচ্চতায় দিতে হবে । তা না হলে বাসা নিয়ে মারামারি করে সকলেই আহত হতে পারে।
    ৪. লাভ বার্ড এর পরিপূর্ণ বয়স হতে সময় লাগে প্রায় ১০ মাস। উল্লেখ্য যে কখনও কখনও ১২/১৩ মাস ও সময় লাগে ।
    ৫.  লাভ বার্ড মুলত ১০/১১ মাস বয়সেই ডিম দেয় । তাই উক্ত সময়েই প্রতি জোড়া পাখির জন্য ৮ x ৮ x ৮ মাপের কাঠের বাক্স বা মাঝারি সাইজের পাখির জন্য তৈরি কলসি দিতে হবে।
    ৬.  এ পাখি প্রতিবারে ৫টি থেকে ৮ টি ডিম দিয়ে থাকে কিন্তু এর মধ্যে সাধারনত ৪ টি বাচ্চা পাওয়া যায়।
    ৭. লাভ বার্ড ডিম দেওয়ার ২২ – ২৫ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। এদের বাচ্চাদের মুক্ত করে দিতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ দিন। কারণ বাচ্চা ২০ থেকে ২৫দিন পাখির বাসার ভিতর থাকে । তারপর পুণরায় ডিম দেওয়ার জন্য এরা নিজেকে প্রস্তুত করে।
    ৮. লাভ বার্ড খাঁচায় যখন পাখি পালন করা হয় তখন পাখি অনেক ভিটামিন- মিনারেল গ্রহন করতে পারে না । এজন্য পাখি চিকিৎসাকের পরামর্শে ভিটামিন ও মিনারেল অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দিতে হবে ।

    উল্লেখ্য যে, আবহাওয়া অনকূলে থাকলে ও পর্যাপ্ত পরিমান যত্ন নিলে লাভ বার্ড প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর বৎসরে সাধারনত ৪ বার ডিম দেয় ।


    অসুখ-বিসুখ : লাভ বার্ডের অসুখ হয় না বললেই চলে। এরা খুব শক্ত শরীরের পাখি। বদহজম, শীতের সময় ঠান্ডা লাগতে পারে। এজন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ আছে। ঢাকার নীমতলীতে পাখির ডক্টর রয়েছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা সেখানে রয়েছে। পাখি পালনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা খুব দরকারী। নতুনরা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। 

    রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
    ১.  খামার বা খাঁচায় পাখি উঠানোর আগে খামারসহ ব্যবহার্য্য সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রথমে পানি দিয়ে পানির সাথে কার্যকরী জীবানু নাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
    ২. খাঁচায় বা খামারের জন্য সুস্থ-সবল পাখি সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে বাহ্যিক পরজীবি নিধনের জন্য ০.৫% ম্যালাথিয়ন দ্রবণে পাখিকে গোসল করিয়ে নিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে পাখির মুখ যেন দ্রবণে না ডুবে।
    ৩. অন্তঃপরজীবি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।
    ৪. জীবাণু মুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
    ৫.পাখির থাকার স্হান বা খোপ, দানাদার খাদ্য ও খনিজ মিশ্রণ সরবরাহের পাত্র, পানির পাত্র ও গোসল করার পাত্র এবং পাখির বসার স্ট্যান্ড নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
    বর্তমানে অনেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উদ্দেশ্যই লাভ বার্ড পাখি পালন করে থাকে। এ পাখি শখের বসে পুষলে ও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এই পাখি পালন শুরু করেছে। তবে সম্ভাবনাময় এ লাভ বার্ড পালন করে বাড়তি আয় করে এমন কি বেকারত্ব দূর করাও সম্ভব।
    লাভ বার্ড কেনা-বেচা : ঢাকার কাঁটাবন পাখি মার্কেট লাভ বার্ড ও বাচ্চা বিক্রির প্রধান মার্কেট। অাপনার এলাকার পাখির দোকানেও বাচ্চা ও পাখি বিক্রয় করতে পারেন। এছাড়া ফেসবুকে পাখির বিক্রির অনেকগুলো গ্রুপ রয়েছে। সেখানে ফ্রি অ্যাড দিয়ে পাখি বিক্রি করা যায়। কেনাও যায়। এ বিষয়ে লাভ বার্ড স্পেশালিস্ট ইঞ্জিঃ অাশিক মাহমুদ শুভ বলেন- ভালো ও নির্ভরযোগ্য ব্রিডারের কাছ থেকে পাখি না কিনলে ঠকতে হতে পারে। পাখির স্বাস্থ্য ভালো কিনা বয়স অনুপাতে, ভেন্ট পরিষ্কার কিনা, আচার-আচরণ স্বাভাবিক কিনা এসব দেখতে হয়। পরিবেশ এবং অতিরিক্ত ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির কারণে অনেক সময় দোকানের পাখি ভালো হয় না। জাত ভেদে লাভ বার্ডের দাম বিভিন্ন রকম। লাভ বার্ডের সর্বনিম্ম বাচ্চার দাম ৩০০০। বাংলাদেশে এমনও লাভ বার্ড আছে যার ২টা (এক পেয়ারের) দাম লক্ষাধিক টাকা। ফেসবুকে লাভ বার্ড স্পেশালিস্টদের সাথে লিংক করতে পারলে ভালো হয়। কাটাবনের দোকানদারদের কাছেও পাখি বিক্রি করা যায়।  

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !