বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং কিছু অজানা তথ্য
সুইমিং পুল শব্দটা ক্ষেত্র বিশেষে বেশ ‘বিলাস বহুল’৷ তবে সুইমিং পুল ঠিক কেমন হয়? অনেকে বলে পুকুরের থেকেও ছোট বা অনেকে আবার বলে ছোট বাঁধানো জায়গায় পানিভর্তি করে রাখা৷ তবে হঠাৎ যদি দেখেন একটি সুইমিং পুল বিশালাকার হ্রদের সমান বা বেশ কয়েকটা ফুটবল মাঠকে নিয়ে তৈরি হয়েছে পুলটি৷ তাহলে নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠবে আপনার?
আর ঠিক এরকমই একটি সুইমিং পুলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা প্রায় একটা বিশাল লেকের সমান বলা যায়৷ একনজর দেখলে বোঝা মুশকিল। লম্বায় প্রায় ৩,৩২৩ ফুট ও গভীরতায় প্রায় সাড়ে ১১ ফুট। এক কথায় ১১ টি ফুটবল মাঠ খুব সহজে এই আয়তনে ঢুকে যাবে৷ আর এই পুলই বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুল হিসাবে পরিচিত৷
চিলির সান আলফোনসো দেল মার রিসর্টে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুলটি। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে একটি জলাশয় এটি। জেনে নিন এই বৃহত্তম সুইমিং পুলটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১. ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে চিলির এই পুলটিকে বৃহত্তম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
২. এই পুলটিতে প্রায় ২৫ কোটি লিটার পানি সংরক্ষণ করা যায়। পর্যটকরদের জন্য আল গাররোবো শহরের এই পুলে নৌকা বিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
৩. ৬০০০টা ৮মিটার লম্বা পুলের চেয়েও বড় এই সুইমিং পুল।
৪. চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরে সাল আলফোনসো দেল মার। সমুদ্রতটের পাশে অবস্থিত এই রিসর্টের সুইমিং পুল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। কিন্তু সমুদ্রের পাশে আবার সুইমিং পুল তৈরির প্রয়োজন হল কেন?
১৯৯৭ সালে ফের্নান্দো ফিসম্যান নামে এক রিয়্যাল এস্টেট ব্যবসায়ী-গবেষক এই পুলের কথা ভাবেন। কারণ চিলির সেন্ট্রাল কোস্টের (মধ্য উপকূল) সমুদ্র পর্যটকদের জন্য বেশ বিপজ্জনক। আর পানিও মারাত্মক ঠান্ডা। সেই থেকেই সমুদ্রের পাশে পুল তৈরির ভাবনা।
৫. সমুদ্রের পাশেই তাই একটি লেগুন বা উপহ্রদ তৈরি করা হয়। এখানে ওয়াটার স্পোর্টসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নীল জলের কারণে খুব তাড়াতাড়িই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
৬. ১১৫ ফুট গভীর এই সুইমিং পুলটি ক্রিস্টাল লেগুনস টেকনোলজি নামের একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সমুদ্রের পানি পরিশুদ্ধ করেই সংরক্ষণ করা হয়েছে এই পুলে। সমুদ্রের পানির তুলনায় কমপক্ষে নয় ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা (২৬ ডিগ্রি) যাতে থাকে, তা বিশেষ অপরেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা হয়।
৭. পাঁচ বছর ধরে এই সুইমিং পুলটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬,৯৮৪ কোটি টাকা।
৮. প্রতি মাসে এই পুলটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।
৯. বৃহত্তম এই পুলটিতে অন্যান্য পুলের তুলনায় অনেক কম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এতে পালস পাওয়ার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। পানির তাপমাত্রা ও ব্যাকটিরিয়া-ছত্রাকের বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.