গাজীপুরে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে শিশু হত্যা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শরীফপুরের সোন্ডা এলাকা থেকে তাফান্নুম তাহি নামে এক নার্সারি ক্লাসের ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানা পুলিশ ওই এলাকার কাশফুলের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা তাহিকে কোনো দুর্বৃত্ত ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
তাহির বড় বোন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তানিমা তাহসিন তানহা জানায়, বাসার কাছাকাছি তাদের নানার বাড়ি। আমরা দুই বোন ছাড়া আমার মা-বাবাসহ সবাই নানার বাড়িতে ছিলেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার ছোট বোন তাহি নানার বাড়িতে গিয়ে গোসল করতে চাইলে আমি তাকে এগিয়ে দিয়ে বাসায় চলে যাই। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমিও নানার বাড়িতে যাই। কিন্তু নানার বাড়িতে তাহিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করি। কিন্তু আমরা বাড়ি ও আশপাশের কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাচ্চারা বাড়ির পার্শ্ববর্তী কাশফুলের জঙ্গলে তাহির নিথর মরদেহ দেখতে পায়।
গাছা থানার এসআই মো. কবির উদ্দিন জানান, বিকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তিনি গাজীপুর সিটির শরীফপুরের সোন্ডা এলাকা থেকে তাহির লাশ উদ্ধার করেছেন। তাহি স্থানিয় মাতৃছায়া আইডিয়াল স্কুলের নার্সারি ক্লাসের ছাত্রী। তার বাবার নাম মো. হুমায়ূন কবির। মা আবেদা সুলতানা রুমা ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, তার ধারণা তাহিকে কোনো এক দুর্বৃত্ত ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করার পর জানাজানির ভয়ে তাকে হত্যা করে সেখানে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করায় মগজ বের হয়ে গেছে। মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি ইট উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাহির মামা আসাদুর রহমান রাসেল বাদী হয়ে গাছা থানায় মামলা করেছেন।
সূত্র- যুগান্তর
যদি সত্যিই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে ধর্ষকের রাষ্ট্রিয় ভাবে বিচার করে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ হওয়া উচিৎ।
সূত্র- যুগান্তর
যদি সত্যিই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে ধর্ষকের রাষ্ট্রিয় ভাবে বিচার করে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ হওয়া উচিৎ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.