গ্রামের নাম পাকিস্তান, অথচ সব বাসিন্দাই হিন্দু
ভারতের বিহারে এক চিলতে একটি গ্রাম, যার নাম পাকিস্তান। যেখানে ২০১৫ সালে জনসংখ্যা ছিল ৩০০। এর মধ্যে একটিও মুসলমান পরিবার নয়।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, দেশ বিভাগের আগে বিহারের বর্তমান পূর্ণিয়া জেলাটি ছিল তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তানের একেবারে পাশেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলেই চলে যান পূর্ব পাকিস্তানে। যাওয়ার আগে নিজেদের জমি-জায়গা সবই তারা দিয়ে যান ভারতের হিন্দু বাসিন্দাদের।
তারপরই এই গ্রামের নামকরণ করা হয় পাকিস্তান। ঘরছাড়া মুসলমান প্রতিবেশীদের সম্মানেই এমন করেছিলেন পূর্ণিয়ার শ্রীনগর ব্লকের ভারতীয়রা।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সেই ভারতীয়রা চান না তাদের গ্রামের নাম বদল হোক। উপরন্তু তারা মনে করেন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে উন্নতি হোক। বন্ধ হোক যুদ্ধ-অশান্তি।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর ৭২ বছর কেটে গেলেও ভারতের এই পাকিস্তানের কোনও উন্নতি হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন সেখানের বাসিন্দারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ফার্স্টপোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাস্তা, হাসপাতাল, স্কুল কিছুই নেই এই গ্রামে। সামান্য হেল্থ সেন্টারও নেই। নিজেরাই টাকা জমিয়ে কিনে আনেন কৃষিকাজের নানা সরঞ্জাম।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তারা অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে। পাঁচ বছর কেটে গেলেও তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.