সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    কারবালার ইতিহাস পর্ব-১ (ইমাম হাসন (রাঃ) সাহাদাত)

    হাসান ইবন আলী (আরবিالحسن بن علي بن أبي طالب‎‎; ৪ঠা মার্চ ৬২৫ / ১৫ রমজান ৩ হিজরী - ৯ বা ৩০ মার্চ ৬৭০ / ৭ সফর বা ২৮ সফর ৫০ হিজরী; ৪৭ বছর বয়স)[৮] হলেন ইসলামের একজন অতি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র। তিনি ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী ও নবী কন্যা ফাতিমা-এর পুত্র; এবং নবী মুহাম্মদ-এর দৌহিত্র।৭ বছর পর্যন্ত স্বীয় পিতামহ হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর সান্নিধ্য লাভের পর পিতার সাথে ছিলেন প্রায় ৩০ বছর। তারা বাবা আমিরুল মু'মিনীন আলী (রাঃ) এর শাহাদাতের পর ১০ বছর যাবত  তিনি রাষ্ট্রের প্রধান বা খলিফা হিসাবে অধিষ্ঠিত হন, মদিনা থেকে অবসরের এবং মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে চুক্তিতে যাবার আগে পর্যন্ত।৫০ হিজরীর ২৮শে সফর ৪৭ বছর বয়সে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের চক্রান্ত ও নির্দেশে স্বীয় স্ত্রী জো'দা বিনতে আশয়াস বিন কায়েস কর্তৃক বিষপ্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন।সুন্নী এবং শিয়া উভয় সম্প্রদায়ই হাসানকে শহীদ হিসেবে সম্মান করে। তিনি আহলে-আল-কিসার ৫ জনের অন্যতম এবং আহলে-আল-বাইতেরও সদস্য। তাকে শিয়াগণ দ্বিতীয় ইমাম হিসেবে মান্য করে।


    যেভাবে শহীদ হন
    প্রথম ফিতনা (আরবিفتنة مقتل عثمان‎‎ Fitnat Maqtal Uthmān, "The Fitna of the Killing of Uthman") ছিল ইসলামের প্রথম গৃহযুদ্ধ। ৬৫৬ সালে মিশরীয় বিদ্রোহীদল কর্তৃক খলিফা উসমান ইবনে আফফানকে হত্যার পর এই ফিতনা শুরু হয়। তার উত্তরাধিকারী আলি ইবনে আবি তালিবের খিলাফতকালে এই অবস্থা চলতে থাকে। ৬৬১ সালে আলির পুত্র ও উত্তরাধিকারী হাসান ইবনে আলি মুয়াবিয়ার সাথে চুক্তিতে আসার পর ইসলামের প্রথম ফিতনা বা গৃহ যুদ্ধের অবসান হয়। এরপর উমাইয়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সন্ধী করতে ইমাম হাসান (রাঃ) কে বাধ্য করে উমাইয়া সরকার তাদের বিভিন্ন কুউদ্দেশ্যে পৌঁছুতে সক্ষম হলেও তাদের অনেক কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইমাম হাসান (আ.) এর অস্তিত্ব ছিল বিরাট বাধা। মুয়াবিয়ার অন্যতম টার্গেট ছিল স্বীয় কুলাঙ্গার পুত্র ইয়াযিদকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মনোনীত করা; যা ছিল ইমাম হাসান (রাঃ) এর সাথে কৃত সন্ধীর শর্ত বিরোধী। আর তাই সে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। সে জানতো যে, যদি ইমাম হাসান (রাঃ) এর জীবদ্দশায় এ ধরনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবে হাসান (আ.) এর কঠোর বিরোধিতার মুখোমুখি হবে। এরই ভিত্তিতে সে যে কোন উপায়ে ইমাম হাসান (রাঃ) কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন আলোচনা ও পর্যালোচনার পর এ চক্রান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইমাম হাসান (রাঃ)এর স্ত্রী জো'দা বিনতে আশয়াসকেই তারা বেছে নেয়। আর তাই গোপনে জো'দার নিকট এক লক্ষ দিরহাম পাঠিয়ে তাকে এ প্রলোভন দেখানো হয় যে, যদি হাসানকে হত্যা করতে পারো তবে তোমাকে ইয়াযিদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে। আর জো'দাও মুয়াবিয়ার চক্রান্তে সাড়া দিয়ে ইমামের খাওয়ার পানিতে বা শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয় এবং ইমাম হাসান (রাঃ) ঐ বিষে আক্রান্ত হয়েই শাহাদাত বরণ করেন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !