বিশ্বকাপে নেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি মানেই মহাযুদ্ধের আবহ, টানটান উত্তেজনা। মাঠ-গ্যালারি ছাড়িয়ে সেই উত্তেজনা আছড়ে পড়ে টিভি সেটের সামনে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। চিরশত্রু প্রতিবেশী এই দল দুটির মধ্যে বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হওয়ায় বড় টুর্নামেন্টগুলোই সেই চাহিদা কিছুটা পূরণ করে। তবে এবার সেটাও হচ্ছে না। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে দেখা হচ্ছে না ভারত-পাকিস্তানের।
ফলে ২০১১ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার আইসিসি-র কোনো ইভেন্টে গ্রুপ স্টেজে মুখোমুখি হচ্ছে না ভারত-পাকিস্তান। ফলে কোহলি-সরফরাজ দ্বৈরথ হওয়ার সম্ভবনা কম। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে এবং ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধোনির ভারত।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখার সম্ভবনা কম। কারণ গ্রুপ পর্বে দেখা না হলে নক-আউটে ভারত-পাকিস্তান মহারণ হতেও পারে আবার নাও হতে পাবে। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে আইসিসি নিয়ম করেই ভারত ও পাকিস্তানকে বিশ্বমঞ্চের কোনো খেলায় একই গ্রুপে রাখে। কেননা ২০০৭ সালের আসরে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড ভিন্ন দুই গ্রুপে থাকা ভারত ও পাকিস্তানকে গ্রুপ থেকেই বিদায় করে দেয়।
সেবারের পরে আইসিসির টনক নড়ে। বড় টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই আর্থিক দিক দিয়ে বেশ লাভবান হয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার ফলে ২০১১ ওয়ানেডে বিশ্বকাপ থেকে আইসিসির বড় ইভেন্টে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। আর ২০১৯ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ওয়ানডে বিশ্বকাপে অটোমেটিক চয়েজ হিসেবে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপে ঝামেলাটি হয়েছে র্যাংকিং নিয়ে। যেখানে পাকিস্তান রয়েছে এই ফরম্যাটের শীর্ষে। আর ভারত দুইয়ে। ফলে শীর্ষ দুই দলকে একই গ্রুপে রাখা যায়নি।
অন্য দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডও রয়েছে ভিন্ন গ্রুপে। যেখানে গ্রুপ ‘এ’তে রয়েছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও বাছাই থেকে উঠে আসা দুটি দল। আর গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাছাই থেকে উঠে আসা দুটি দল।
এই বিশ্বকাপে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৮টি দল সরাসরি সুপার ১২’তে খেলবে। তবে নয় ও দশে থাকা যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ আসরের প্রাথমিক পর্বে আরও চারটি দলের সঙ্গে খেলে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ২৪ অক্টোবর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ১২’র প্রথম ম্যাচ খেলবে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পার্থে ভারত মোকাবেলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকার। পরের দিন মেলবোর্নে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।
১১ ও ১২ নভেম্বর যথাক্রমে সিডনি ও অ্যাডিলেড ওভালে সেমিফাইনালগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ নভেম্বর মেলবোর্নে ফাইনালের মধ্যদিয়ে আসরের পর্দা নামবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.