সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    পাঁচ কিংবদন্তী বোলার যারা কখনও ‘নো’ বল করেননি




    মোহাম্মদ আমিরের এক ‘নো’ বলে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। স্পট ফিক্সিংয়ের ওই ‘নো’ বল কাণ্ডে জড়িয়ে ৫ বছরের শাস্তি ভোগ করতে হয় পাকিস্তানি এই পেসারকে। শুধু আমিরই না। এই কাণ্ডে জড়িয়ে জেল খাটতে হয় দলটির তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট ও পেসার মোহাম্মদ আসিফকে। আমির ক্রিকেটে ফিরে আসলেও এখন ফিরতে পারেননি বাট ও আসিফ।

    নিদহাস ট্রফির কথা মনে আছে? এক ‘নো’ বলের দাবিতে মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাথা ঠাণ্ডা রেখে দারুণ এক জয় এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এমনও অনেক ইতিহাস রয়েছে ‘নো’ বলের। ক্রিকেটের পেনাল্টি খ্যাত এই ‘নো’ বলে লাভটা হয় ব্যাটিং দলেরই। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বহুবার পরিবর্তন এনেছেন ‘নো’ বলের এই নিয়মে।

    ছোট ফরম্যাটে ‘নো’ বলের ফলের একটি অতিরিক্ত রানের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত বলও পায় ব্যাটসম্যানরা। সেই বলে রান আউট ছাড়া অন্য কোনও আউটের সুযোগ নেই, তাই ব্যাটসম্যানরা নির্ভয়ে বড় শট খেলত পারে।  বোলারদের জন্য ‘নো’ বল একটি বিভীষিকার মতো। এই বলে অনেক সময় পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। বেশিরভাগ সময় করে পেস বোলাররা ‘নো’ বল কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। কালেভদ্রে স্পিনারও ‘নো’ বল করে থাকেন অনেক সময়। তবে অবাক হতে হবে এটি জেনে যে ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র পাঁচ জন বোলার রয়েছেন যারা তাদের পুরো ক্যারিয়ারে ‘নো’ বল করেননি তাদের চার জনই পেস বোলার। বাকি একজন স্পিনার।

    আরও অবাক হতে হবে এটা জেনে যে পাঁচজনই বিশ্ব ক্রিকেটের সুপরিচিত মুখ। নামগুলো ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছ থেকেই কিংবদন্তি হিসেবে পরিচয় লাভ করেছেন। কারও কারও অনেক প্রিয় খেলোয়াড়ও তারা। আরও একটি তথ্য দেয়া যাক, এই পাঁচ ক্রিকেটারের তিনজনই নিজ দেশের হয়ে দীর্ঘদিন অধিনায়কত্ব করেছেন সম্মানের সঙ্গে, এদের মধ্যে আবার দুজন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কও। এখন হয়ত জানার আগ্রহটা তীব্র হচ্ছে পাঠকদের মনে, সেই পাঁচজন ক্রিকেটার হচ্ছেন- ল্যান্স গিবস, ড্যানিস লিলি, ইমরান খান, কপিল দেব ও ইয়ান বোথাম। এদের মধ্যে শুধু গিবসই একমাত্র স্পিন বোলার, বাকি সবাই পেসার। কপিল দেব ও ইমরান খান ভারত ও পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। বিশ্বকাপ না জিততে পারলেও ইংল্যান্ডের তো অবশ্যই এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলা হয় ইয়ান বোথামকে।ডেনিস লিলিকে বলা হয় ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক বোলার। ওয়েস্ট স্পিনার গিবস বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক না হলেও বিশ্বকাপের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক আছে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরপর দু’বার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের চাচাতো ভাই।



    ডেনিস লিলি

    অস্ট্রেলিয়ান পেসার ডেনিস লিলি ৭০টি টেস্টে ৩৫৫ উইকেট ও ৬৩টি ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১০৩ উইকেট। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত প্রবল প্রভাব বিস্তার করে অজি বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।


    ইয়ান বোথাম

    এদিকে ইয়ান বোথামের ক্যারিয়ারে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ১০২টি। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের ৫ হাজার ২০০ টেস্ট রানের পাশাপাশি উইকেট রয়েছে ৩৮৩টি। বোথামের ক্যারিয়ারে ১১৬টি ওয়ানডে খেলে ২ হাজার ১০৩ রানের সঙ্গে উইকেট রয়েছে ১৪৫টি।


    ইমরান খান

    ১৯৭১ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া ইমরান খান সাদা পোশাকে খেলেছেন ৮৮টি ম্যাচ। তিন হাজার ৮০৭ রানের পাশাপাশি টেস্টে উইকেট রয়েছে ৩৬২টি। এছাড়া ১৭৫টি ওয়ানডে খেলা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই পাকিস্তানি অধিনায়কের রান সংখ্যা তিন হাজার ৭০৯। উইকেট রয়েছে ১৮২টি।

    কপিল দেব

    ভারতের হয়ে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জেতা কপিল দেবের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ১৩১টি, পাঁচ হাজার ২৪৮ রানের পাশাপাশি উইকেট সংখ্যা ৪৩৪টি। অপরদিকে ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তিন হাজার ৭৮৩ রানের সঙ্গে উইকেট রয়েছে ২৫৩টি।


    ল্যান্স গিবস

    ল্যান্স গিবস ছিলেন এই তালিকায় একমাত্র স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অফস্পিনার ৭৯টি টেস্ট খেলেছেন যেখানে ৩০৯টি উইকেট রয়েছে তার।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !