নিজেদের রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি চালায় বিজিবি
‘ভারতীয় ৫টি গরু আটকের পর বহরমপুরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিজিবির ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
গ্রামবাসী-বিজিবির সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টরের লেজার ক্যান্টিনে ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে লিখিত বক্তব্যে বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভারতীয় ৫টি গরু আটকের পর বহরমপুরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিজিবির ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৫জন বিজিবির সদস্য আহত হয়। বিজিবিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় আত্মরক্ষায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ৫০ বিজিবির এই পরিচালক বলেন, বিজিবির গুলিতে নিহতরা যদি নিরপরাধ হয় তবে সে বিষয়ে পরে জানানো হবে। কত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে এ প্রশ্নে সঠিক উত্তর দেননি তিনি।
এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল শামসুল আরেফিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গরু জব্দ করা নিয়ে সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, ভারতীয় গরু জব্দ করায় সশস্ত্র চোরাকারবারিরা হামলা করলে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হন। তবে গ্রামবাসী বলছে, বৈধ কাগজ থাকার পরও বিজিবি সদস্যরা গরু নিয়ে যাচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করায় বিজিবি গুলি চালায়।
নিহত তিনজন হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া গ্রামের নজরুলের ছেলে দিনাজপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মো. নবাব (২৬), একই গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে মো. সাদেক (৩৬) ও বহরমপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জয়নুল (১২)।
এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- হরিপুরের সিংহারী গ্রামের সফিকের ছেলে সাদেকুল (৩০), একই গ্রামের আবদুল গণির ছেলে সোহেল (৩৫), বহরমপুর গ্রামের আতাহারের ছেলে তৈয়বুর রহমান (৪৫), একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মুনতাহার (৪৫), রহিমউদ্দীনের ছেলে সাদেক আলী (৩০), মহুবুল হোসেনের ছেলে রাসেল (১৫), বিশু মোহাম্মদের ছেলে এরশাদ (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে রুবেল (১৭), মাঈনুল হকের ছেলে বাবু (২২), আবদুল মান্নানের ছেলে মিঠুন (১৭), আবদুস সালামের স্ত্রী নুর নাহার (৫৫), সিংহারী গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে আনসারুল (২৫), রুহিয়া গ্রামের জাহিদের ছেলে আবুল কাশেম (১৬) এবং পীরগঞ্জ উপজেলার গুয়াগাঁও গ্রামের মোকলেছুর রহমানের শিশুপুত্র লাবিব (৪)।
বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ সবাইকে প্রথমে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র- যুগান্তর
বিজিবির এই সাফাই মায়া কান্না হজম হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বিজিবি সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। তখন তো দেখা যায় নি বিজিবির এই কর্ম চাঞ্চল্য, তাদের অস্ত্রের ব্যবহার। তবে কেন সীমান্তের কাছে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলো?
কথায় অাছে, অাপনা বাড়িতে কুকুরও মোড়াল, সীমান্তের কাছে নিজেদের লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছে পেয়ে তাই বিজিবি নিরীহ গ্রাম বাসীর উপর নির্বিচারে গুলি করে ক্ষমতা প্রদর্শন করলো। যখন মায়ানমারের বিজিপি গুলি ছোঁড়ে, অাকাশ সীমা লঙ্ঘন করে, নিরীহ কোন লোককে সীমানার কাছ থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় তখন অপদার্থের মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে। যত সব অপদার্থ, নিকর্ম্ন, ঘুষ খোরের দল। এদেরকে ডিসঅার্ম করে নতুন কোন বাহিনীকে সীমানা রক্ষার দ্বায়িত্ব দেয়া উচিৎ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.