সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    আত্মহত্যা প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক

    বাংলাদেশে অনেক আচরণকেই আত্মহত্যার প্ররোচনা বলে গণ্য করে পুলিশ

    বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এক ডাক্তার দম্পতির মধ্যে কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। এরপর পুলিশ এই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম জানিয়েছেন, ডাক্তার মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ তার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে যে নোট রেখে গেছেন এবং ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়ে গেছেন, তাতে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে দায়ী করেন। সে কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।এই ডাক্তার দম্পতির ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং জনগণের মধ্যে যেরকম ব্যাপক আলোচনা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে আটক করেন বলে জানান আমেনা বেগম।

    ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ডাক্তার মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ গত বৃহস্পতিবার ভোরে আত্মহত্যা করেন। সেখানে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।ফেসবুকেও তিনি একটা স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি এর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তার পরিবারও তাৎক্ষণিক এক অভিযোগ জানায় যে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই ডাক্তার আকাশ আত্মহত্যা করেছেন।আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে নিহত ডাক্তার আকাশের পরিবারের তরফ থেকে। এতে তানজিলা হক চৌধুরি মিতু ছাড়াও আসামী করা হয়েছে তার মা, দুই বোন ও কথিত এক প্রেমিক সহ আরও পাঁচজনকে।তবে এই মামলা দায়ের হওয়ার আগেই পুলিশ স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে আটক করে।

    এর কারণ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা আমেনা বেগম বলেন, "যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং এখানকার জনগণের মধ্যে বিষয়টি আলোড়ন তুলেছিল, সে কারণে এটা বার্ণিং ইস্যু ছিল। তাই আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি।" কিন্তু সুইসাইড নোটে কারো নামে অভিযোগ থাকলেই কি তাকে গ্রেফতার বা আটক করে নিয়ে আসা যায়? আমেনা বেগম বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কাউকেই আনা যায়। আমরা তাকে এখনো গ্রেফতার দেখাইনি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি, কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো।" আত্মহত্যার প্ররোচনা বলতে ঠিক কী বোঝায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আত্মহত্যার প্ররোচনা অনেক কিছুই হতে পারে। অনেক আচরণও হতে পারে। অশ্লীল আচরণ, দুর্ব্যবহারও হতে পারে।যেমন ঢাকায় হয়েছে, একজন ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন তার বাবার সাথে শিক্ষকরা দুর্ব্যবহার করার কারণে। এই দুর্ব্যবহারটাও আত্মহত্যার প্ররোচনা।"

    উল্লেখ্য সম্প্রতি ঢাকার একটি নামী স্কুল, ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করার পর ঐ স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে।

    সূত্র- বিবিসি

    আইন কী বলে?
    বাংলদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩০৬ ধারা অনুযায়ী-ব্যক্তির আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তি ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা। তবে আত্মহত্যা করতে গিয়ে না মরলে আপনাকে আত্মহত্যা বা নিজেকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার অপরাধে এক বছরের জেলে যেতে হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারামতে, যদি আপনি আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেন এবং অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করেন তা হলে আপনার এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে বা উভয় শাস্তিই হতে পারে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !