সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে দিশেহারা নিঝুম দ্বীপের জেলেরা

    বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে দিশেহারা নিঝুম দ্বীপের জেলেরা


    নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে মূষলধারে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার শুঁটকি। নদীর জোয়ারের পানিতেও ভেসে গেছে অনেক শুঁটকি। এতে মাথায় হাত পড়েছে জেলেদের। নিজেদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা জেলেরা। স্থানীয় সূত্র জানায়, এক সময় নিঝু মদ্বীপের মেঘনা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেখানে তেমন ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশ মাছের পরিবর্তে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে এক প্রকার চেউয়া মাছ (স্থানীয় ভাবে এই মাছকে চেউয়া মাছ বলে)। প্রতিদিন জেলেদের জালে হাজার হাজার মন চেউয়া মাছ ধরা পড়ছে। এই মাছ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় দ্বীপের বন্দরটিলা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর পাড়ে ও খোলা মাঠে শুকিয়ে স্থানীয় ভাবে শুঁটকি উৎপাদন করছে জেলেরা। এমনিতে যাতায়াত সমস্যাসহ নানা কারণে জেলেরা প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না। তার উপর গত দু’দিনের ভারী বর্ষণ ও বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তালিয়ে গেছে সমূদ্র উপকূল। ফলে নদীর পাড়ে ও খোলা মাঠে শুকাতে দেওয়া শুঁটকি পচে নষ্ট হয়ে যায় ও অনেক শুঁটকি নদীর পানিতে ভেসে যায়। 

    নষ্ট শুঁটকির পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার মন। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এই শুঁটকিই ছিলো নিঝুম দ্বীপের জেলের রুটি-রুজির একমাত্র মাধ্যম। শুঁটকি পানিতে পড়ে নষ্ট হওয়ায় ও জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা এসব জেলে। স্থানীয় বন্দরটিলা এলাকার জেলে আবদুল হক জানান, রাত-দিন খেটে নদী থেকে চেউয়া মাছ ধরে শুঁটকি করার জন্য শুকাতে দিয়েছিলাম নদীর কূলে। কিন্তু সেই শুঁটকি ঘরে তুলতে পারিনি। পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। জোয়ারে ভেসে গেছে অনেক শুঁটকি। এখন কি করবো, বো পোলা-মাইয়া নিয়া কি ভাবে থাকবো, কি খাবো সেই চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। তিনি এ জন্য সরকারের কাছে সহযোগীতা কামনা করেন। 

    নিঝুম দ্বীপের আদর্শ গ্রামের বাসিন্ধা রাকিব জানান, এখানকার অনেক জেলে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধার নিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টিতে ও জোয়ারে যাদের শুঁটকি নষ্ট হয়েছে তারা এখন দিশেহারা। নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মো: মেহেরাজ হোসেন জানান, নিঝুম দ্বীপের মানুষের জীবন-জিবিকার একমাত্র মাধ্যম জেলে ও কৃষি। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের সব শুঁটকি মহাল ডুবে গেছে। কোটি কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়েছে। এখানকার জেলেরা একদিকে দাদন ব্যবসায়ীদের দেনা, অন্যদিকে সংসার চালানো সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়বে। তাই এই মূহুর্তে তাদের সরকারী সাহার্য ছাড়া কোন উপায় নাই। নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা ড. মো. মোতালেব হোসেন সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে শুঁটকি নষ্ট হওয় নিঝু মদ্বীপের জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !