আরো সাতটি পরমাণু বোমা তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া
কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উত্তর কোরিয়া আরো সাতটি পরমাণু বোমা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা কেন্দ্র।সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভুখণ্ড, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সক্ষমতার বাইরে থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে। এদিকে, ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী আয়োজক দেশ ভিয়েতনাম।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠেয় ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা। এর আগে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের মধ্যে খুবই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প-কিম বৈঠকের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তে শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আবারও আলোচনায় বসার কথা দু'পক্ষের কূটনীতিকদের। এ অবস্থায়, ট্রাম্প-কিম বৈঠক বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ভিয়েতনামীদের।ভিয়েতনামের নাগরিকরা বলেন, এ মুহূর্তে ট্রাম্প-কিম সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তি। তারা চাইলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বৈঠকে তাদেরকে একসঙ্গে দেখবো বলে আশা করি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা তাদের পাশে আছি।
তারা বলেন, কিম জং উন আগের চেয়ে অনেক পরিপক্ক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠকের বিষয়ে উভয়ই যথেষ্ট আন্তরিক বলে মনে হচ্ছে। এধরনের একটা ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে পারবো ভেবে ভালো লাগছে।এরমধ্যেই, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অভিযোগ তুলেছে স্ট্যনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা কেন্দ্র। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, জতিসংঘও একই অভিযোগ তুলেছিল। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার মধ্যেই অন্তত সাতটি পরমাণু বোমা তৈরি করেছে পিয়ংইয়ং। বর্তমানে তাদের কাছে ৩৭টি পরমাণু বোমার মজুদ রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখাকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করা হয়।
পরমাণু বিশেষজ্ঞ সিগফ্রায়েড হ্যাকার বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের পর নিজেদের সক্ষমতা উন্নয়নে আর এগুতে পারেনি উত্তর কোরিয়া। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয়েছে ২০১৭ সালের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া যতোটা হুমকি ছিলো এখন তেমনটা নেই। অবশ্য এ সময়ে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উৎপান করেছে। যা দিয়ে ৫ থেকে ৭টি পরমাণু বোমা তৈরি করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভুখণ্ডে আক্রমণের সক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার না থাকলেও, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান মারাত্মকভাবে হুমকিতে রয়েছে।এর আগে, মার্কিন গোয়েন্দারা বা পরমাণু বিশেষজ্ঞ কেউই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা মজুদের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেন ৫০টির মতো পরমাণু বোমা উত্তর কোরিয়রা কাছে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান এ সংখ্যা ২০ থেকে ৬০টি হতে পারে। তবে এবারই প্রথম কোনো প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার কাছে থাকা পরমাণু বোমার নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হলো।
দেশটির হাতে বর্তমানে ৩৭টি পরমাণু বোমার মজুদ রয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.