দ্রুত কলেরা নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবন!
শুরুতেই কলেরা রোগের সংক্রমণ দ্রুত চিহ্নিত এবং শনাক্তে কলকিট নামের ডিপস্টিক উদ্ভাবন করেছে আইসিডিডিআরবি।৩ বছরের বেশি সময়ের গবেষণার পর এটি পূর্ণতা পেল। এর মধ্যদিয়ে দ্রুত রোগ নির্ণয় পরীক্ষা পদ্ধতির সকল চাহিদা ও দিকনির্দেশনা পূরণে সক্ষমতা অর্জন করল।এটি রোগীর ‘মল’ কালচার করে কলেরার জীবাণু চিহ্নিত করতে সক্ষম। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আসিডিডিআরবি।
এতে বলা হয়েছে, এটি এমন একটি ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক ডিপস্টিক পরীক্ষা পদ্ধতি- যা মলের নমুনাযুক্ত টিউবের মধ্যে ডুবালে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটে ফলাফল প্রদর্শন করে।এটি খালি চোখেও দৃশ্যমান। কলকিটের গবেষণাগার ও মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা নিয়ে একটি নিবন্ধ সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল প্লাস নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজেসে প্রকাশিত হয়েছে।নতুন উদ্ভাবিত এই কলকিট দিয়ে ৭ হাজার ৭২০ জন রোগীর মলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, কলকিটের সংবেদনশীলতা ৭৬ ভাগ ও নির্দিষ্টতা ৯০ ভাগ। অবশ্য বিদেশি আরডিটির ক্ষেত্রে এগুলো সংবেদনশীলতা ও নির্দিষ্টতা ৭২ ও ৮৬ দশমিক ৮ ভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কলেরা নির্ণয়ের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে মলের কালচার পরীক্ষ- যা নমুনা তৈরি, পরিবহনে বিলম্ব, দক্ষ কর্মী, সময় (২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা) এবং ব্যয়ের (নমুনা প্রতি ৬ থেকে ৮ মার্কিন ডলার) মতো বিষয়ের প্রতি সংবেদনশীল।কিন্তু কলেরার সংক্রমণ মোকাবেলায় দ্রুত রোগ নির্ণয় একান্ত অপরিহার্য। কেন না, কলেরা জীবাণু খুব দ্রুত ছড়িয়ে অল্প সময়ে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে।
সেক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে দ্রুততম সময়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় জরুরি। ডিপস্টিক পরীক্ষা তেমনই একটি পদ্ধতি- যা মহামারীপ্রবণ এলাকায় ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত রোগের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ, রোগের মৌসুমভিত্তিক ব্যাপকতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় কলেরা জরিপের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহারে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।আইসিডিডিআরবি’র সংক্রামক রোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী কলকিট উদ্ভাবন কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চল থেকেই বিশ্বের ৭টি মহামারীর সবগুলোর বিস্তার ঘটেছে। কলেরা রোগের দ্রুত শনাক্তকরণের ওপর এ রোগের ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.