বাণী চিরন্তনী
হযরত আলী (রা.) এর কিছু অমূল্য বাণী:
* কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে।
* বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না।
* অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত।
* সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না।
* ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়।
* সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
* সর্বাপেক্ষা করুণার পাত্র হচ্ছে ঐ ব্যক্তি-
ক) যে আলেম ব্যক্তির উপর জাহেলরা কতৃত্ব করে।
খ) যে ভদ্রব্যক্তি কোন ইতর লোকের অধীন হয়ে পড়ে।
গ) ঐ সৎব্যক্তি যার মাথার উপর পাপিষ্ঠ চেপে বসে।
* সর্বোত্তম বক্তব্য সেটিই, স্বয়ং বক্তা যা কার্যে পরিণত করে।
* সর্বাপেক্ষা আহাম্মক ঐ ব্যক্তি যে অন্যের বদঅভ্যাসের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেই সেই সব বদঅভ্যাসে জড়িত থাকে।
* দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতীনের ন্যায়। স্বামী যেমন একজনকে খুশি করতে চাইলে অন্যজন ক্ষিপ্ত হয়। তেমনি কেউ দুনিয়ার জীবনকে সুখময় করতে চাইলে আখেরাতের ক্ষতি এবং আখেরাতকে নির্বিঘ্ন করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ক্ষতি স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
* বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।
* অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে।
* অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী,আর বদ-অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু ।
* বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ।
* দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে, আর দ্রুতপ্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.