সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    কমলার চাষ পদ্ধতি


    Image result for কমলা

    কমলা এক প্রকারের লেবু জাতীয় রসালো ফল। কমলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Citrus reticulata যা Rutaceae পরিবারভুক্ত। কমলাকে ইংরেজিতে 'Mandarin orange', 'Mandarin' এবং 'Mandarine' বলা হয়। কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। এটি সরাসরি খাওয়া হয় এবং ফ্রুট সালাদে ব্যবহৃত হয়।
      
    বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে কিছু চাষ করা হয়। কাচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে কমলা রং হয়। কমলা গাছ খরা সহ্য করতে পারে, তবে এর ফল তা সহ্য করতে পারেনা। কমলা ফল ঠান্ডা আবহাওয়া সহ্য করতে পারেনা। এটি ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে চাষযোগ্য। কমলার জাত: বারি কমলা-১, ম্যান্ডারিন


    চারা বানানো ও বাছাই করার নিয়মঃ
    বীজ থেকে সরাসরি চারা তৈরি করা যায়।  চোখ কলম ও পার্শ্ব-কলমের মাধ্যমেও কলম তৈরি করা যায়। ১০ থেকে ১২ মাস বয়সের কমলার চারা বোর্ডিং ও গ্রাফ-টিংয়ের জন্য আদি-জোড় হিসাবে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। রোপণের জন্য সোজা ও ভাল বৃদ্ধি সম্পন্ন তরতাজা চারা অথবা কলম বেছে নিতে হবে।

    জমি তৈরি করার নিয়মঃ
    প্রথমে নির্বাচিত জমির আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। সমতল ভূমিতে আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে এবং পাহাড়ি অঞ্চলে কোদালের সাহায্যে জমি তৈরি করতে হবে। জমির তৈরি পর উভয় দিকে ৪-৫ মিটার দূরত্বে ৬০ সেন্টিমিটার (২ফুট) আকারে গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্তের মাটি তুলে পাশে রেখে দিতে হবে। বর্ষার আগে গর্ত মাটি দিয়ে ভর্তি করে রাখতে হবে। কমলা চাষের জমি পাহাড়ি হলে সেখানে ৩০-৫০ মিটার দূরত্বে ২-৪টি বড় গাছ রাখা যেতে পারে।

    মাদা তৈরির নিয়মঃ
    চারা রোপণের ১৫-২০ দিন আগে উভয় দিকে ৪-৫ মিটার দূরত্বে ৭৫ সেন্টিমিটার (২.৫ফুট) আকারে গর্ত তৈরি করতে হবে। প্রতি গর্তে ১৫ কেজি পচা গোবর, ৩-৫ কেজি ছাই, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমও-পি ও ২৫০ গ্রাম চুন গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।

    কমলা গাছ রোপণ করার উপযুক্ত সময়ঃ
    বর্ষার শুরুতে অর্থাৎ বৈশাখ ( মে-জুন) মাস কমলার চারা লাগানোর খুব ভালো সময়। তবে সেচেরে ব্যবস্থা থাকলে যেকোনো সময় কমলার চারা লাগাতে পারেন।

    কমলা গাছে সার প্রদানের নিয়মঃ
    প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমও-পি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। এসব সারের অর্ধেক ফল সংগ্রহের পর অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে এবং বাকি অর্ধেক সার ফল মার্বেল আকার ধারণ করার পর অর্থাৎ অক্টোবর মাসে দিতে হবে।

    সেচ দেওয়া ও আগাছা পরিষ্কার করাঃ
    চারা গাছের গোঁড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোঁড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে।


    কমলার বিভিন্ন রকম রোগ ও রোগ দমন করার উপায়ঃ
    সাধারণত কমলার বিশেষ কোন রোগ দেখা যায় না ।

    ফল তোলার সময়
    কমলা পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙ বদলাতে শুরু করে। ভালোভাবে পাকার পর ফল সংগ্রহ করলে মিষ্টি হয়।

    কমলার ফলনঃ
    পূর্ণ বয়স্ক কমলাগাছ প্রতি বছর গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০টি ফল দেয়। বেশি বয়স্ক গাছ এক হাজার থেকে দেড় হাজার ফল দিতে পারে। একটি গাছ সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !