এফআর টাওয়ারে আগুন: কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজনের লাশ
রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বিকাল ৩টার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে বনানীর আগুনে নিহত একজনের লাশ এসেছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ।এর আগে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আগুন লাগা ভবনে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন।বহু হতাহতের শঙ্কা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। যোগ দিয়েছেন বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্যরা।বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, আমরা এখন পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় দু’জনকে পেয়েছি। ‘এদের মধ্যে একজনকে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। যখন আনা হয় তখনই তার দেহে প্রাণ ছিল না। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর হবে। আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
এদিকে প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।তাদের মধ্যে একজন শ্রীলংকান নাগরিকও রয়েছেন।তাকের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।লাফিয়ে পড়াদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে।দুপুর ২টার দিকে ভবনের ভেতর থেকে একজন নারী ফেসবুক লাইভে এসে তাদেরকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ভিডিওতে শোনা যায় ওই নারী বারবার বলছেন, ‘আমাদের জন্য সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। না হলে ধোঁয়ায় আমরা মারা যাব।’
২টার পর বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভবনসহ আশপাশের এলাকায় চক্কর দিতে দেখা গেছে হেলিকপ্টারকে।পরে এটি উদ্ধারের কাজে লাগানো হয়।আগুন ভবনে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত লোকজন জানালা দিয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। তাদের অনেককেই চিৎকার করতে শোনা গেছে।জানা গেছে, ভবনটিতে আটকা পড়েছেন অনেকেই। ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আবার অনেকেই রশি বেয়ে নামার চেষ্টা করছেন।উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ফায়ার টিম এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার।ভবনটিতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কার্যালয় আছে। একই সঙ্গে গার্মেন্টের বায়িং হাউসসহ বিভিন্ন কার্যালয় রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, পানির সংকটে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভবনটি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আশপাশে বহু ভবন রয়েছে লাগোয়া অবস্থায়।আগুনে পুড়ে ভবনের গ্লাসগুলো খসে পড়ছিল। আশপাশের লোকজন জড়ো হয়েছেন ভবনের আশপাশে। বনানী সড়ক বন্ধ রয়েছে। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে আগুনের ক্ষতির পরিমাণ ও কীভাবে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.