পাখি প্রেমিক ইঞ্জিঃ আল মেরাজ মোল্লা
ইঞ্জিঃ আল মেরাজ মোল্লা ( Engr. Al Maraj Mollah ) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী ব্লগার, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, পাখিপ্রেমী ও পরিবেশবিদ।তার প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর হলেও তিনি সকলের কাছে ইঞ্জিঃ আল মেরাজ নামে বেশি পরিচিত।তিনি গাজীপুর সদরে ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি গাজীপুর স্বনামধন্য কামারজুরী ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে SSC ও দিনাজপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে HSC পাশ করেন। তিনি IUBAT থেকে Bachelor of Science in Electrical and Electronics Engineering (BSEEE) পাশ করেন । তিনি দিনাজপুর আদর্শ কলেজে অধ্যায়ন কালীন সময়ে দৈনিক করতোয়ায় খন্ডকালীন রিপোটার হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিছু দিন সেখানে কাজ করার পর ফোকাস বাংলা ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে কাজ শুরু করেন।এরপর somewhereinblog.org, techtues.com.bd ব্লগ ও অন্যান্য অনলাইন দৈনিককে লেখালেখি শুরু করেন।এছাড়া কিছু কাল এম এ মজিদ কলেজ ও উত্তরা পাবলিক কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান ও ICT প্রভাষক হিসেবে চাকুরি করেন। এরপর Waton ও Grammen Knit Wear Ltd তে কিছু কাল চাকুরি করেন।একই সাথে abnews365 নামে একটি নিউজ পোটালেও নিয়মিত লেখা লেখি করেন।
ইঞ্জিঃ আল মেরাজ মোল্লা গবেষণা মূলক উদ্দেশ্যে মৌমাছি মাছি চাষ করেন। তার b Honey নামে ছোট একটি সৌখিন মৌমাছির খামার আছে।। কিছু গবেষণা থেকে জানা যায়, মৌমাছির হুলে ক্যান্সারের ঔষধ আছে। তাছাড়া মৌমাছি হুল ফোটালে শরীরে বাত-ব্যথা থাকে না।হাঁপানি, সাদা স্রাব, সর্দি ও কাশি ছাড়াও বহুরোগের মহৌষধ হল মধু।
এছাড়া সখ হিসেবে তিনি পাখি পালন করেন। তার Angry Bird নামে একটি ছোট পাখির খামার। তার খামারে প্রায় ৩০ জাতের ৪০০ এর মত পাখি আছে।তার খামারের পাখিদের মধ্যে বাজরিগার, লাভ বার্ড, কাকাতুয়া, গ্রে গ্রিন সিনামন টারকুইজিন, ম্যাকাউ, ফিঞ্চ, জাভা, গ্রে গ্রিন সিনামন টারকুইজিন, ককাটেল, টিয়া, আফ্রিকান চড়ই, ময়না, অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, শালিক, ডাহুক, কালিম এবং কবুতরের মধ্যে হোমার, গোলা, লাক্ষা, সিরাজী, গিরিবাজ, কাগজি, চিলা, গোররা, চুইনা, রান্ট, প্রিন্স, পটার, ফ্রিল ব্যাক, জ্যাকোবিন, স্ট্রেসার, মডেনা, মুসল দম, নোটন, কিং, জালালি কবুতর অন্যতম।
এছাড়া সখ হিসেবে তিনি পাখি পালন করেন। তার Angry Bird নামে একটি ছোট পাখির খামার। তার খামারে প্রায় ৩০ জাতের ৪০০ এর মত পাখি আছে।তার খামারের পাখিদের মধ্যে বাজরিগার, লাভ বার্ড, কাকাতুয়া, গ্রে গ্রিন সিনামন টারকুইজিন, ম্যাকাউ, ফিঞ্চ, জাভা, গ্রে গ্রিন সিনামন টারকুইজিন, ককাটেল, টিয়া, আফ্রিকান চড়ই, ময়না, অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, শালিক, ডাহুক, কালিম এবং কবুতরের মধ্যে হোমার, গোলা, লাক্ষা, সিরাজী, গিরিবাজ, কাগজি, চিলা, গোররা, চুইনা, রান্ট, প্রিন্স, পটার, ফ্রিল ব্যাক, জ্যাকোবিন, স্ট্রেসার, মডেনা, মুসল দম, নোটন, কিং, জালালি কবুতর অন্যতম।
ডাহুক ও কালিম পাখি পালন তার Loss Project।ডাহুক ও কালিম পাখি কেবল পালন করেন এদেরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। প্রথম দিকে ডাহুক ও কালিম খাঁচায় পালন করলেও পরে ডাহুক পাখিকে তার বাড়ির আশেপাশের পুকুর ডোবায় ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই ডাহুক গুলো প্রতিদিন ভোরে তার বাড়ির পিছনে খাবার খেতে হাজির হয়। আর কালিম বা বুরি পাখি শিকারিদের বেশ পছন্দের বলে দিনের বেলায় ছেড়ে দিলেও রাতে তাদের জন্য তৈরী নিদিষ্ট ঘরে রাখেন এবং বুরি পাখিদের মাছ, ধান, ঘাস ও সবজি খেতে দেন। তার প্রচেষ্ঠায় বর্তমানে তার বাড়ির অাশ-পাশ ছাড়াও আশুলিয়ার লিয়া বর্ষাকালীন জলাভূমি ও পূবাইলের বিলে আজ কাল কালিম পাখি বেশ চোখে পড়ে। কারণ তিনি কালিম পাখি পালন করেন এবং বাচ্চা হওয়ার পর একটু বড় হয়ে নিজের খাবার সংগ্রহ করার মতো হলে এগুলোকে আশুলিয়া লিয়া বর্ষাকালীন জলাভূমি, তূরাগ নদীর তীরের নামা অঞ্চল, পূবাইলের বিলে ও বিস্তৃর্ণ ক্ষেত সমৃদ্ধ এলাকায় অবমুক্ত করে থাকেন।
যদিও তিনি বিলপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য ছাগলের পা ওয়ালা দেশী খরগস বহু দিন ধরে পালণ করতে চান কিন্তু তা দেশে সম্ভবত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় তা আর পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। তবুও তিনি খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন এই ছাগলের পা ওয়ালা খরগসের আশায় যদি তিনি কোথায় পেয়ে যান। তবে তার ইচ্ছা তিনি তা পালন করে বিভিন্ন ছোট ছোট ইকো পার্ক, কলেজ, বিস্তৃর্ণ ইউনির্ভাসিটি, চিড়িয়াখানা ও সাফারী পার্কে দান করবেন। তার এ প্রচেষ্ঠা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে।
ইঞ্জিঃ আল মেরাজ মোল্লা একটি বাড়ি, একটি আধুনিক খামার তৈরির যুগোপযুগী রুপরেখা প্রনয়নে তিনি নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের প্রতিটি বাড়িতে তাদের চাহিদা মত কৃষিজ পন্য ও পশু-পাখি পালন করে ঘরোয়া চাহিদা পূরণ করতে পাবে। তাছাড়া ছাদ কৃষি বা ছাদে পশু-পাখি পালণ করে বাড়িতে অবস্থানরত মা-বোনেরা যাতে স্ববলম্বী হতে পারেন তার জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা করে চলেছেন।
তাছাড়া তিনি সমুদ্রের পানি থেকে সহেজ বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করার পদ্ধতি সম্পর্কেও একটি সহজ ও যুগোপযুগী পানি পরিশোধন ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন। যা ব্যবহার করে মরু প্রবণ বা মরুভূমির সমৃদ্ধ মধ্য প্রাচ্য ও অাফ্রিকার দেশ গুলো সহজেই পানির সংকট দূর করতে পারে।
তিনি বাংলার মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ সুদ বিহীন ব্যাংক ব্যবস্থায় নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং সুদ বিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা চালুর জন্য চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি "ইসলামী হালাল ব্যাংক লিঃ" নামে একটি সম্পূর্ণ সুদ বিহীন অলাভ জনক ব্যাংক ব্যবস্থা চালু করার চেষ্ঠা করছেন। এ ব্যাংক থেকে কেমল মাত্র মুসলমান গ্রাহকগণই ঋণ গ্রহন করতে পারবেন এবং এই ব্যবস্থায় ঋণ গ্রহন বা প্রদান শতভাগ সুদমুক্ত।
এছাড়া ইঞ্জিঃ অাল মেরাজ মোল্লার অন্যতম স্বপ্ন হল বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সর্ববৃহৎ সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ "বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি কওমী মাদ্রাসা" নামের একটি মাদ্রাসা চালু করা। যেখানে তথা কথিত ইসলামী ও জেনারেল শিক্ষার সমন্নয় না হয়ে কারিগরি, হাফেজী, কওমী ও সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার সর্বাধুনিক সমন্বয় থাকবে।আল্লাহ তার সদিচ্ছাগুলোকে বাস্তবায়নের তৌফিক দান করুন। -আমিন
আরোও পড়ুন- কালিম পাখি পালণ পদ্ধতি
হাজল পদ্ধতিতে মুরগির বাচ্ছা পালণ
আরোও পড়ুন- কালিম পাখি পালণ পদ্ধতি
হাজল পদ্ধতিতে মুরগির বাচ্ছা পালণ
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.