বাইক চালাই আইন মেনে
গতি যত ঝুঁকি তত
গতিসীমার ওপরে বাইক চালানোর জন্য মোটরযান-সংক্রান্ত ১৯৮৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১৪২ ধারায় মামলা দিতে পারেন ট্রাফিক সার্জন। আর দুর্ঘটনার ঘটলে মামলা হতে পারে ১৪৬ ধারায়। শুধু কি তাই? ঝুঁকিও আছে জীবনের। অনিয়ন্ত্রিত ক্ষিপ্রগতির কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। যেমন ঘাড়ের হাড়ে আঘাত লেগে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু, কোমরের হাড় ভেঙে শরীরের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। মূলত অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণেই। তাই রাস্তা ফাঁকা পেলেই দ্রুতগতিতে বাইক চালানো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
বড় রাস্তার পাশে ফুটপাতটুকু থাকে হাঁটার জন্য। ট্রাফিক জ্যামে পড়লেই দেখা যায় কেউ কেউ বাইক নিয়ে উঠে পড়েন ফুটপাতে। আর স্বাভাবিক চিত্র এটাই যে ফুটপাতগুলো হয় খানাখন্দে ভরা। এর ফলে আপনিও চলতে পারেন না স্বাভাবিক গতিতে। শুরু হয় হেঁটে চলা মানুষের ভোগান্তি। এ জন্য আপনার বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ১৩৭ ধারায় মামলা হতে পারে। হতে পারে বিভিন্ন পরিমাণের অর্থমূল্যের জরিমানা।
হেলমেট ছাড়া পথে নয়
বাইকে চলেছেন অথচ হেলমেট নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চালকের আসনে যিনি বসেছেন তাঁর হেলমেট থাকলেও পেছনের মানুষটির নেই। এই অসচেতনতার জন্য ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হেলমেট ব্যবহার না করলে মামলা হবে ১৪৯ ধারায়।
তাড়া আছে, তাই সবুজবাতির জন্য অপেক্ষা না করেই যাওয়ার চেষ্টা। একবারও ভেবে দেখেছেন কি উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িটি নিমেষেই সব শেষ করে দিতে পারে। তাই অপেক্ষা করুন সবুজবাতির জন্য। সিগন্যালে একটুখানি ফাঁক পেয়ে ভুল সুযোগ না নেওয়াই ভালো। কেননা এ জন্য ট্রাফিক আদেশ অমান্যের দায়ে ১৪০ ধারায় মামলা হবে অপরাধীর বিরুদ্ধে।
আপনার বাইক কালো ধোঁয়া ছাড়ছে না তো? এটি যেমন পরিবেশের ক্ষতি করে তেমনি ক্ষতি করে আপনার এবং আপনার পেছনের গাড়িতে বসে থাকা যাত্রীর। আর এই ফিটনেস সমস্যার জন্য মামলা হতে পারে ১৫০ ধারায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বাইকে লুকিং গ্লাস থাকে না কিংবা নিষিদ্ধ হর্ন ব্যবহার করেন। এ জন্য মামলা হতে পারে ১৩৯ ও ১৪৯ ধারায়।
তাই একটুখানি সচেতনতা পারে আপনাকে দুর্ঘটনা এবং আইনি ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখতে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.