ফিলিস্তিনি মসজিদ এখন দখলদার ইসরায়েলের নাইটক্লাব!

ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক আল-আহরাম মসজিদকে নাইটক্লাবে ও বারে রূপান্তর করেছে দখলদার ইসরায়েল। এই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে দেশটির সাফেদ মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ বার ও বিয়ের পার্টি সেন্টারে রূপান্তর করে।সেখানে এখন পার্টি হয়, চলে মদ্যপান। মাঝে মাঝে বিয়ের অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। রাতে গানের তালে নাচতে দেখা যায় তরুণ তরুণী থেকে সব বয়সী মানুষকে।মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর স্থানীয় এক মুসলিম কর্মীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মসজিদটি আরব শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক শহর। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলিরা ওই এলাকার দখল নেয়।
প্রতিবেদনটি বলছে, মসজিদ ভবনটিতে প্রথমে একটি ইহুদি স্কুল ছিল। পরে সেখানে লিকুদ পার্টির নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অফিস খোলা হয়। এর পর সেখানে কাপড়ের গুদাম এবং সর্বশেষ সেখানে নাইটক্লাব স্থাপন করা হয়।খাইর তাবারি নামের এক কর্মী বলেন, ‘আমি যখন ব্যাপারটি প্রথমবার দেখতে পাই তখন তো বেশ মর্মাহত হয়ে পড়ি। মসজিদটির ভেতরে এমন কার্যক্রম লক্ষ্য করার পর আমি অন্তর্ঘাতে ভুগতে থাকি।’
কয়েক বছর আগে এ নিয়ে নাজারেথ আদালতে মসজিদটির হস্তান্তর চেয়ে একটি আবেদন করেন তিনি। তাবারি বলছেন, তিনি মসজিদটির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্রও উত্থাপন করেন। কিন্তু এখনো আদালত এ বিষয়ে কোনো রুল জারি করেননি।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাফেদে এক সময় ১২ হাজার ফিলিস্তিনির বসবাস ছিল। ১৯৪৮ সালে তাদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়। তারপর ২০০৬ সালে ইসরায়েলের কাদিমা পার্টির নির্বাচনী কার্যালয় বানানো হয় মসজিদিটিকে।এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মামলুক সাম্রাজ্যের সুলতান আল দাহের বাইবারসের শাসনামলে। মসজিদটির সামনে থাকা নামফলক বলছে এটি ১২৭৬ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.