সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    'নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার পর পরীক্ষা দেয় পপি ও তার বান্ধবী'


    ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী হত্যার ঘটনায় আটক পপি ও তার বান্ধবী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার পর পরীক্ষায় অংশ নেয়। অজ্ঞাত ওই বান্ধবী এখন পলাতক রয়েছে। নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক জুবায়ের ও জাবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব কথা উঠে আসে। গতকাল রাত ১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন) তাহেরুল হক চৌহান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আসামিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। আসামিরা পুরো বিষয় খোলাসা করেছেন। হত্যাকাণ্ডটি কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, কী প্রক্রিয়ায় ঘটিয়েছে বিস্তারিত বলেছেন। কিন্তু তা আপনাদের সামনে মামলার তদন্তের স্বার্থে পেশ করবো না।

    তাহেরুল হক চৌহান বলেন, আসামিরা অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তারা জেলখানা (সিরাজ উদ দৌলা) থেকে হুকুম পেয়েছেন।তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যায় সরাসরি জড়িত চারজনের সবাইকে গ্রেফতার করতে পারিনি। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তাহেরুল হক চৌহান।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৫দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত বুধবার রাতে না ফেরার দেশে চলে যান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন- এমন অভিযোগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। 

    এরপর গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গেলে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তার দেওয়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নিতে বলে। সে রাজি না হলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !