সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    *যদি মায়ানমার বাংলাদেশ আক্রমন করে তবে ফলাফল কেমন হবে বলাে তো?


    Maianmar Vs Bangladesh
    একটা বাদর কে করে যেমন কনো ভরষা করা যায় না তেমনি মায়ানমার কে করেও কিছুই ভরষা বা আশা করা যায় না। এই রাষ্ট্র টির কলকাঠি দীর্ঘ দিন সামরিক নেতাদের হাতে থাকায় এরা একটু সংঘাত প্রবণ জাতীতে রূপলাভ করেছে। বহুবার তারা বাংলাদেশ এর সাথে ঝামেলা করেছে এবং প্রতিবার ই নিজের ক্ষতিসাধন এর মাধ্যমে হয় পিছু হটেছে নয়তো সমঝোতায় এসেছে। সংখ্যা ও মিলিটারি ইকুইপমেন্ট এর দিক থেকে মায়ানমার সামরিক বাহিনীও এগিয়ে আমাদের চেয়ে, এর প্রধান কারণ সামরিক শাসনের মদ্ধ্যদিয়ে দেশটির অগ্রযাত্রা। তবে উন্নত প্রশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক মিলিটারি স্কিল থেকে তারা বাংলাদেশ চাইতে পিছিয়ে আছে অনেকটাই, এর প্রধান কারন দেশটির উপর দীর্ঘ দিনের সামরিক, বেসামরিক ও বাণিজ্যিক অবরোধ। যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই পৃথিবীর বহু দেশের সাথে নিয়মিত প্রতিবছর যৌথ-সামরিক মহড়া ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত থাকায় প্রচুর সামরিক কৌশলগত জ্ঞানলাভ করেছে সেখানে মায়ানমার বেশ অনেকটাই পিছিয়ে অবরোধের ফলে।

    ভূ-অবস্থান গত দিক দিয়ে বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্ত অত্যন্ত দুর্গম ফলে মায়ানমার বাংলাদেশে স্থল হামলা করে অগ্রসর হতে প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক বাধা পাবে এমনকি এমন কিছু সীমান্ত আছে যেখান দিয়ে চট্টগ্রাম পোঁছাইতেই ১০ দিনের বেশি লাগে,, তবে মায়ানমার অক্রমন করলে আর্টিলারি, মিসাইল, এয়ার-স্ট্রাইক ও নেভাল স্ট্রাইক করার সম্ভাবনাই সবচাইতে বেশি। নেভাল স্ট্রাইক বা মায়ানমার নৌবাহিনী কে ঠ্যাকানোর মত যথেষ্ট সক্ষমতা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আছে তবে এয়ার-স্ট্রাইক থেকে রক্ষা পাওয়াটা একটু কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হবে। যদিয়োবা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বাংলাদেশ ক্রয় করছে তবুও তা যথেষ্ট না। এবং মায়ানমার এর তুলনায় আমাদের এয়ার স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি কিছুটা কম ই বলা চলে। তবে ভারতের মত মায়ানমার এর ও একটা বড় সমস্যা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী স্বাধীনতাকামি ও বিচ্ছিনতাবাদিরা, যাদের প্রতিরোধ করতে মায়ানমার সামরিক বাহিনী এখনো হিমশিম খাচ্ছে,, এবং থাইল্যান্ড এর সাথেও বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক না থাকায় তারা ঐ সীমান্ত থেকে সামরিক শক্তি কমাতে পাড়বেনা,, তাই সবদিক বিবেচনাধীন করলে দেখা যাবে মায়ানমার ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বচ্চ ৪০-৫০% এর বেশি সামরিক শক্তি ব্যবহারে সক্ষম নয়, আর তাদের অর্থনীতি বেশ দুর্বল তাই এই পরিমাণ শক্তিও ব্যবহারে সক্ষম কিনা তাও ভাবার বিষয়।

    ইতিমধ্যেই বার্মা সীমান্ত এলাকা গুলোতে সামরিক স্থাপনা উন্নয়ন, নুতুন সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌ-ঘাটি, সাবমেরিন বেস ইত্যাদি সামরিক স্থাপনার কারনে মায়ানমার এর যেকোনো সামরিক আক্রমণ প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ এর সর্বচ্চ ৩০-৪০% সামরিক শক্তি যথেষ্ট। আর এই সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, বাস্তবিক অভিজ্ঞতা যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিটারি স্ট্রেটিজি এবং ওয়্যার স্ট্রেটিজি বাংলাদেশ কে অনেক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে জয়লাভে সহায়তা করবে।

    পরিশেষে সকলের উদ্দেশে একটা কথা বলি, " বোকা লোকদের কথায় কান না দিয়ে বা তাদের পাগলামি তে সাড়া না দিয়ে আমাদের সকলের সামরিক জ্ঞান চর্চা করাই উত্তম বলে আমি মনে করি"। বাংলাদেশ দখল করে নিবো, বাংলাদেশীদের ধ্বংস করে দিবো, এটা করবো ওটা করবো এগুলা কেবল বোকা বা পাগলের মুখেই মানায়, সুস্থমস্তিষ্কেরকোন মানুষের পক্ষে এগুলো বলা বা ভাবা সম্ভব না।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !