'মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুতের পেছনে ইসরাইলের জোরালো ভূমিকা ছিল':ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
মিসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুহাম্মদ মুরসি। সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন এই নেতা। তবে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ইসরাইলের জোরালো ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের একজন সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, মুহাম্মদ মুরসির ক্ষমতায় থাকার সাথে ইসরাইলের নিরাপত্তা প্রশ্ন জড়িয়ে যাওয়ায় এই কাজ করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরয়িহ ইলদাদ স্থানীয় এক পত্রিকা ‘ম্যারিভ’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে এই তথ্য প্রকাশ করেন। ‘দ্য আউটব্রেক অব দ্য জানুয়ারি রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি বলেন, মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ইসরাইল মুসলিম ব্রাদারহুডের মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন করত। কারণ, তিনি ইসরাইলের সাথে সম্পাদিত শান্তিচুক্তি বাতিল এবং সিনাই উপত্যকায় সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছিলেন, যা ইসরাইলকে ভীত করে তোলে। ফলে ইসরাইল দ্রুত ও সক্রীয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং আবদুল ফাত্তাহ সিসিকে ক্ষমতায় আনার ব্যবস্থা নেয়। এই ক্ষেত্রে ওবামার মার্কিন সরকার কোনো আপত্তি করেনি।ইলদাদ বলেন, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি-যা ৪০ বছর আগে স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং দীর্ঘ দিন টিকে আছে- তা ভেঙে দেয়া হলে তা হতো সব ইসরাইলির প্রত্যাশার বিপরীত। এটা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিকেও বিঘ্নিত করত। আমরা আরব ও ফিলিস্তিনিদের সাথে আরেকটি ধর্মযুদ্ধে জড়াতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির ৪০ বছরপূর্তিতে জার্মানির কাছ থেকে মিসরের সাবমেরিন কেনার চুক্তিকেও বিশেষ বার্তা হিসেবে গ্রহণ করে ইসরাইল। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির ৪০ বছর পর বলতে হচ্ছে, ইসরাইলিরা কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করছেন। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে ইলদাদ বলেন, শত্রু ভাবাপন্ন আরব রাষ্ট্রের সাথে এমন চুক্তি এটাই প্রথম। যে দেশটি ছিল সবচেয়ে বড় ও ভয়ঙ্কর।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.