সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    জন্ডিস কি, কেন হয় ও কি চিকিৎসা করতে হয়?

    Image result for জন্ডিস

    জন্ডিস (ইংরেজি: Jaundice) যা ইক্টেরাস (ictetus) নামেও পরিচিত, আসলে কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে ত্বক,স্ক্লের বা চোখের সাদা অংশ ও অন্যন্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব 1.2 mg/dL এর নিচে থাকে (25 µmol/L এর নিচে)। 3 mg/dL বা 50 µmol/L এর বেশি হলে জন্ডিস হয়। jaundice শব্দটি ফরাসি শব্দ jaunisse, থেকে এসেছে যার অর্থ হলুদাভ।

    জন্ডিসের কারণঃ
    লিভার নানা কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই জন্ডিসের প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। তবে উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মদ্যপান জন্ডিসের অন্যতম কারণ।

    এ ছাড়া অটোইমিউন লিভার ডিজিজ এবং বংশগত কারণসহ আরো কিছু বিরল ধরনের লিভার রোগেও জন্ডিস হতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও অনেক সময় জন্ডিস হয়। তা ছাড়া থ্যালাসেমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজের মতো যেসব রোগে রক্ত ভেঙে যায় কিংবা পিত্তনালির পাথর বা টিউমার এবং লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে। তাই জন্ডিস শুধুই লিভারের রোগ_এমনটি ভাবা ঠিক নয়।

    চিকিৎসাঃ

    জন্ডিস চিকিৎসা চার প্রকারে করা যায়।  যথা- 
    ১. এলোপ্যাথি চিকিৎসা
    ২. হোমিওপ্যাথি
    ৩. কবিরাজীঃ 
    ৪. মন্ত্রের চিকিৎসাঃ

    ১. এলোপ্যাথিকঃ ভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন হতে পারে। ভাইরাল হেপাটাইটিস সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সেরে যায়। এ সময় ব্যথার ওষুধ, যেমন_প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ কোনো অপ্রয়োজনীয় ও কবিরাজি ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই বাস্তবে সেবন করা ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকিটাই বেশি থাকে।

    হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্ডিস সেরে যাওয়ার পরও লিভারের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে, যা লিভার পরবর্তী সময়ে লিভারসিরোসিস আর, এমনকি লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও তৈরি করতে পারে। তাই এ দুটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দীর্ঘমেয়াদি লিভার বিশেষজ্ঞের ফলোআপে থাকত হয় এবং প্রয়োজনে অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নিতে হয়।

    ২. হোমিওপ্যাথিঃ হোমিওপ্যাথিতে জন্ডিসসহ সকল লিভার রোগের অনেক উন্নত এবং সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে যার ফলাফল মাজিকের মত মনে হয়। কারণ যেখানে এ সকল রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ কাল অ্যালোপ্যাথি ঔষধ সেবন করতে হয় সেখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ততটা সময় লাগে না। সবচেয়ে সাফল্যের বিষয় হলো এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের দারস্থ হতে হবে।

    ৩. কবিরাজীঃ কিছু গাছ অাছে যা খেলে জন্ডিস ভাল হয় । অাবার কিছু গাছ অাছে যা বেঁটি তার রস দিয়ে গোসল করলেও জন্ডিস ভাল হয়। 

    ৪. মন্ত্রের চিকিৎসাঃ কিছু  তান্ত্রকি বা মন্ত্রের সাধক ওঝা অাছে যারা মন্ত্র দিয়ে ঝেড়ে জন্ডিসের চিকিৎসা করে থাকেন। বাস্তবেও এসব রোগি ভাল হয়ে যায়। তবে অবশ্যই ভাল ওঝা হতে হবে। তাছাড়া অামাদের দেশে তো অাবার ভন্ড ওঝার অভাব নেই । 


    হেপাটাইটিস ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়ঃ

    হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য-পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও প্রচুর পানি খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিন। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরি।

    হেপাটাইটিস বি ও এ-এর টিকা দেশে পাওয়া যায়। বিশেষ করে হেপাটাইটিস বি'র টিকা প্রত্যেকেরই নেওয়া উচিত। যাঁরা সেলুনে শেভ করেন, খেয়াল রাখবেন যেন আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর আবারও ব্যবহার করা না হয়। জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।


    অারোও পড়ুন - জন্ডসের চিকিৎসা মাত্র ২০০/- টাকায় 

                            হাঁপানির চিকিৎসা মাত্র ৫০০/- টাকায়



    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !